• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন আইনজীবিদের                    মানিকছড়িতে গ্রীনহিল আয়োজনে মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরে বন্যা কবলিত মানবিক সহায়তা প্রদান প্রকল্পের অবহিতকরন সভা                    নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে-ধর্ম উপদেষ্টা                    রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন                    খাগড়াছড়িতে মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    খাগড়াছড়িতে গর্ভবতী নারী ও কিশোরীদের মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    অবশেষে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ পূর্নগঠন                    সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরীর মুক্তির দাবীতে রাঙামাটিতে প্রতীকি কর্মবিরতি                    খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আটক                    খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে পার্বত্য উপদেষ্টা                    খাগড়াছড়িতে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট মামলায় ৫ জন আটক                    খাগড়াছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ                    খাগড়াছড়িতে সংঘাত, নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি সমাবেশ                    খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে,সাপ্তাহিক হাটে উপস্থিতি কম                    খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা চলছে,এখনো থমথমে অবস্থা                    অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি                    পানছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও কিশোরীকে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ                    মহালছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দুইশত পাহাড়ি-বাঙালিকে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ                    খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সহিংস ঘটনার তদন্ড শুরু করেছেন তদন্ড কমিটি                    খাগড়াছড়িতে নিহতদের স্বরনে মোমবাতি প্রজ্জলন                    
 
ads

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন-এর বিবৃতি
পাহাড়ে হাম উপদ্রুত এলাকায় জরুরী মানবিক সহায়তার আহ্বান

ডেস্ক রিপোর্ট : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 28 Mar 2020   Saturday

রাঙামাটির সাজেক ও বান্দরবানে লামায় হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন উদ্বেগ প্রকাশ করে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক, নিরবিচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সুনজর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের  অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

শনিবার বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশনের পক্ষে হিরন মিত্র চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ দাবী জানানো হয়েছে।

 

প্রেস বার্তায় পাহাড়ে হাম উপদ্রুত এলাকায় জরুরী মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা, আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে সুচিকিৎসা ব্যবস্থা করা ও  ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য  দাবী জানানো হয়েছে।


প্রেস বার্তায় আরো বলা হয়, এ প্রাকৃতিক মহামারি প্রায় মাস খানেক পূর্বেই দেখা দেয় এবং কমপক্ষে ৩০০ জন শিশু আক্রান্ত হয় ও ৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। এমতাবস্থায় সেখানকার অধিবাসীরা যথেষ্ট উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন যাপন করছে ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটি নিঃসন্দেহে সে অঞ্চলের নাগরিক সুবিধা ও স্বাস্থ্য সেবার করুন অবস্থাকে প্রতিফলিত করে। সাজেকে মোট ৬টি গ্রামের প্রায় ২৫০ জন হামে আক্রান্ত হয় এবং তাদের অধিকাংশই শিশু। তুইছুই মৌজার অরুণপাড়া সবচাইতে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ২০ দিনের ব্যবধানে ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত অন্যান্য গ্রামগুলো হচ্ছে- লংথিয়ান পাড়া, কমলাপুর চাকমা পাড়া, নিউথাং/নতুনপাড়া, হাইচ্যাপাড়া ইত্যাদি। জানা যায়, কমপক্ষে ১০০ জন শিশু এবং ৭-৮ বছরের বয়সিরা বেশি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

 

প্রেস বার্তায় গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা তুলে বলা হয়, গ্রামে শিশুদের এযাবত কোন টিকাই প্রদান করা হয়নি। সরকারের কোন স্বাস্থ্য সেবাও সেখানে পৌঁছায়নি। কোন স্বাস্থ্যকর্মী তাদের এলাকায় পা দেয়নি।  সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা এবং সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি এ গ্রামবাসীদের বিশেষ করে শিশুদের পুষ্টিহীন ও রোগাগ্রস্ত করে রেখেছে। অন্যদিকে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার লামা ইউনিয়নে দুর্গম এলাকায়ও প্রায় একই সময়ে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ম্রো অধ্যুষিত লাল্যাপাড়ায় ৪ মাসের এক  ম্রো শিশু মারা গেছে এবং ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৩৩ জন শিশু। জানা যায়, গত ১৬ মার্চ তাদের মধ্যে ৩১ জন শিশু ও ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীকে ট্রাকে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। প্রথম প্রথম স্বাস্থ্যকর্মীরা এটিকে অজ্ঞাত রোগ হিসেবে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, লাল্যাপাড়াসহ বান্দরবনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি স্বাস্থসেবা পৌঁছায়নি।

 

প্রেস বার্তায় বলা হয়,  সাজেকে উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। হামের টিকা ও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু কোন কোন রোগী এমন মুমুর্ষু যে তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসতে হয়েছে। অন্যদিকে, লামার উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসক দল গিয়েছে কিনা সে তথ্য  পাওয়া যায়নি।

 

প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়, সরকারের ঘরে ঘরে টিকাদান কর্মসূচী ও স্বাস্থ্যসেবা জনগনের মাঝে পৌঁছালে এরকম প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি হতো না। দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে এতগুলো প্রাণ ঝরে যেতো না। একবিংশ শতাব্দীতে হামে মৃত্যুবরণ কল্পনাই করা যায় না।

 

আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আরো বেশি এগিয়ে আসা জরুরী বলে উল্লেখ করে প্রেস বার্তায় বলা হয়, ওইসব এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও হাত বাড়ানো দরকার। করোনার সংকটে উক্ত মানবিক সংকটটি যেন হারিয়ে না যায়। করোনার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে হামের এ প্রাদুর্ভাবটি প্রশাসনের সুদৃষ্টি পাক এবং আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ