জমির সীমনা বিরোধের জের ধরে জীবনের নিরাপত্তা দাবী জানিয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন পার্বত্য নারী অধিকার ফোরামের নেত্রী নূর জাহান বেগম।
রোববার রাঙামাটিতে পার্বত্য অধিকার ফোরামের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নিরাপত্তার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, নুরসাদ জাহান নাদীয়া প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলনে নূর জাহান বেগম বলেন, বাড়ীর পাশ্ববর্তী মোঃ হোসেন বন্দোবস্তিকৃত জমির সীমানা বিরোধেরে জের ধরে একের পর এক মিথ্যা মামলার হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোঃ হোসেন ও তার ছেলে আতাউর সুমন তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে রাঙামাটি কতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও দায়ের করেছেন।
সোনগাজির নূরসাতের হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা তার জীবনেও ঘটে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করে তিনি তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষের দাবী জানান।
তিনি আরো দাবী করে বলেন, মোহাম্মদ হোসেন এই পর্যন্ত যতগুলো মামলা করেছে সবগুলো মিথ্যা। চারফুট গলির জায়গাটি নিয়ে যে সমস্যা চলছে তা তার নামে রেকর্ডভুক্ত। বর্তমানে বাজার ফান্ড ১৬২ এ এবং বি প্লটের নাম দিয়ে যে কথা বলছে, আগে এই শব্দ ছিলো না। মোহাম্মদ হোসেনের ১৬২ এ প্লট নামে যে জায়গাটি তার দাবী করছে সেই জায়গাটি তার নামে বন্দোবস্তী ছিলো। জায়গাটি যখন বন্দোবস্তী হয় তখন জায়গার সালামী খাজনা জমা দেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ হোসেন তার জায়গার নামে একটি বেনামী মামলা করে চট্টগ্রাম কোর্টে নিয়ে যান। মামলার ফাইলটি গোপন রেখে আমার জায়গাটি দখল করে নেয়। আমার ফাইলটি বাজার ফান্ড গোপন রেখে জায়গাটি মোহাম্মাদ হোসেনকে দিয়ে দেয় এবং মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ হোসেন আগে যেখানে ছিলো সেখানেও এভবে পাশ্ববর্তীদের মামলা দিয়ে দিয়ে হয়রানি করতো। বর্তমানে জায়গা নিয়ে যে মামলা চলছে এ মামলা মোহাম্মদ হোসেন ২০১১ সালে করেন। এর আগেও সে তার নামে একাধিক মামলা করে। তিনি নাকি মামলা দিয়ে হয়রানি করতে করতে কবরে নিয়ে যাবেন।
তিনি তার নিরাপত্তা বিষয়ে বলেন, তার বাড়ীর ছাদের দিকে দরজা করে রাখায় তিনি ভয়ে ছাদে উঠতে পারছেন না। কারন ছাদে তার নিরাপত্তা নেই। যে কোন সময় তাকে ছাদে পেলে ক্ষতি করতে পারে। তার জানের নিরাপত্তা নেই। ছাদে আমি উঠলে যে কোন সময় তাকে হত্যা করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে মোঃ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.