খৃষ্ট (খ্রিষ্টান) ধর্ম প্রচারে শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বান্দরবানের রুমায় তিন দিন ব্যাপী বম রাম গসপেল সেন্টেনারী শীর্ষক বর্নাঢ্য উৎসব পালন করছেন বম সম্প্রদায়। উৎসবে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, অস্টেলিয়া ,কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন।
রুমা উপজেলা হাই স্কুল মাঠে খ্রিস্টের সুসমাচার প্রচারের শত বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় রুমা হাই স্কুল মাঠে বম রাম গসপেল সেন্টেনারী শীর্ষক উৎসবের উদ্ধোধন করেন বম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা রেভারেন্ড কামখুপ বম। শনিবার সকালে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের উৎসব। এসময় বম সম্প্রদায়ের তরুন তরুনীরা তদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। উৎসবে বম সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া শিং নৃত্য ,বাঁশ নৃত্যসহ একশ শিল্পির অংশ গ্রহনে ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গান পরিবেশন করা হয়। উৎসব অনুষ্ঠানে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা অতিথিরা যোগ দেন।
তিন দিন ব্যাপী বর্নাঢ্য উৎসবে অংশ গ্রহনকারীরা নেচে গেয়ে আনন্দ উদ্দীপনায় মেতে উঠেছেন। অনুষ্ঠানে ভারত, আমেরিকা, অস্টেলিয়া ,কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন। এছাড়া পার্বত্য তিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষও এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। তবে এ উৎসবে শুধু বম সম্প্রদায়ই নয় অন্যান্য পাহাড়ী জনগোষ্ঠির লোকজনরাও যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য ,বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ভাইরেলহ গ্রামে যিশু খ্রিস্টের সুসমাচার পৌছে দেন ধর্মীয় নেতা রেভারেন্ড এডউইন রোলেন্ডস। বর্তমানে পাড়াটির অস্তিত্ব না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বম সম্প্রদায় প্রকৃতি পূজা ছেড়ে খ্রিস্ট ধর্ম পালন শুরু করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ২০১৯ সালে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহনের শত বর্ষ পূর্তী পালন করছে পাহাড়ের এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি বম সম্প্রদায়। খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহনের আগে প্রকৃতি পূজারী ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বম সম্প্রদায়। ১৯১৮ সালে তারা খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহন করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.