খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে শনিবার দুদিন ব্যাপি ১২তম দানোত্তম কঠিন চীবরদান সম্পন্ন হয়েছে।
বিহার প্রাঙ্গনে আয়োজিত আয়োজিত ধর্মীয় সভায় রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে গৌতম বুদ্ধের স্বধর্ম দেশনা ও অমৃতবাণী দেন পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ শাসন রক্ষিত মহাস্থবির, রাজবন বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু সুধর্ম্মানন্দ মহাস্থবির, খাগড়াছড়ির মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বিমলানন্দ মহাস্থবির, রাঙামাটির নানিয়ারচর বেনু বিহারের অধ্যক্ষ পন্থক স্থবির প্রমূখ।
বুদ্ধের সময়ে মহা উপাসিকা বিশাখা কতৃক প্রবর্তিত নিয়মে পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে শুক্রবার বিকেল ৫টায় তুলা গাছ থেকে তুলা তুলে, তুলা থেকে সুতা আর সুতা, আর সুতা থেকে বেইন বুনে রাতভর কাপড় তৈরী করা হয়। ১০নভেম্বর তৈরীকৃত কাপড়টি সেলাই করে চীবর তৈরী করা হয়েছে। তৈরীকৃত চীবরটি পানছড়ি অরণ্য কুটিরে অধ্যক্ষ শাসন রক্ষিত মহাস্থবিরকে দান করা হয়। এছাড়াও বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্ঠপরিস্কার দান, কল্পতরু দান, হাজার প্রদীপ দানসহ নানাবিধ সামগ্রী দান করা হয়।
বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকা ছাড়াও দানানুষ্ঠানে চীবরদান করেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এটিএম কাউসার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা) বুকরান ফারুকী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল হাশেম, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আহমাষ উজ্জামান ও পানছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আলম।জুনেল চাকমা, ইতি চাকমা ও অন্তরা চাকমার সঞ্চালনায় দানানুষ্ঠানে দান উৎসর্গ ও শীল প্রার্থনা করেন বিভাষ চাকমা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.