বুধবার রাঙামাটিতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপিত হয়েছে।
সকালে প্রবারনা পূর্নিমা উপলক্ষে রাঙামাটির জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মহাস্থবির বরণ ও সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি, হাজার প্রদীপ দানসহ নানান দান কার্য সম্পাদন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সুবলং শাখা বন বিহার অধ্যক্ষ বুদ্ধশ্রী ভিক্ষুসহ তিন জন বুদ্ধ ভিক্ষুকে মহাস্থবির হিসেবে বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া বিহার পরিচালনা কমিটি ধল কুমার চাকমাকে সন্মানা প্রদান করা হয়। ধর্মসভা শেষে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। সন্ধ্যায় আকাশ প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ধমীয় দেশনা দেন সুবলং শাখা বন বিহার অধ্যক্ষ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, আর্য্যনন্দ মহাস্থবির, প্রিয়তিষ্য মহাস্থবির। বক্তব্যে দেন জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয়জয় চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবর্তক চাকমা, জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমা। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন ১নং জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা। অনুষ্ঠানে হাজারো নারী-পুরুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা এই প্রাবরণা পূর্নিমার মধ্য দিয়ে সকল প্রকার লোভ, হিংসা,মোহ সংঘাতসহ যাবতীয় খারাপ কাজ পরিহার করে সৎ পথে চলতে ও মৈত্রীপূর্ন মনোভাব নিয়ে একে অপরে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার হিতোপদেশ প্রদান করেন।
অপরদিকে রাঙামাটি রাজ বন বিহার মাঠে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা দেন রাঙামাটি রাজ বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির। বক্তব্যে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা ও রাঙামাটি রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা(ভিক্ষু-শ্রমন) তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে এ প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন করা হয়ে থাকে। এর পর থেকে দীর্ঘ এক মাসব্যাপী বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে উদযাপিত হবে প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ কঠিন চীবর দান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.