রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাসহ ৬ খুনের ঘটনায় ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসাসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব হত্যাকা-ের সাথে ইউপিডিএফ-এর কোন নেতাকর্মী কোনভাবে সংশ্লিষ্ট নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শক্তিকে দুর্বল করতে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে ইউপিডিএফ-এর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টতার কোন আলামত না থাকলেও নির্দেশদাতা হিসেবেও মামলা করতে দেখা যাচ্ছে, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী।
বিবৃতিতে শক্তিমান চাকমাসহ ৬ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীসহ নিরপরাধ লোকজনকে হয়রানি না করার দাবি জানিয়ে আরো বলা হয়, নব্যমুখোশবাহিনীর হাতে মিঠুনসহ একের পর এক খুন, অপহরণ ও অরাজকতায় সরকার-প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুব-জনতার সাথে দেশের সমতলের গণতান্ত্রিক শক্তিও একাত্ম হয়েছে। বর্মা ও শক্তিমানের’রহস্যজনক হত্যাকান্ডকে জনগণের ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরিণাম কখনই শুভ হবে না। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আরো বেশী অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ সরকার-প্রশাসনের ওপর বর্তাবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এমএন লারমা গ্রুপের জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ারে করে হত্যা করে। পর দিন ৪ মে শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগদান করতে যাওয়ার সময় বেতছড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশ ফায়ারে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫ জন নিহত হন। ঘটনার ৬ দিন পর গত বুধবার নানিয়ারচর থানায় ইউপিডিএঢের প্রধান প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.