খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ স্যানিটেশন সুবিধা বঞ্চিত। ফলে এ সব এলাকার মারুষের মধ্যে কলেরা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গম শনখোলা পাড়া, শ্রীকুন্তিমাছড়া, তক্কীরায় পাড়া, মরাটিলা, ভারতবর্ষ পাড়া, রূপসেন পড়া, হারুবিল, যুবনাশ্ব পাড়া, আলীচান পাড়া, হলধর পাড়া, বৃষ মোহন পাড়া, হাতিমারাসহ অর্ধশতাধিক গ্রামে স্যানিটেশনের কোন সুবিধা নেই। অনেকে স্যানিটেশন কি তাও জানেন না। স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে স্থানীয় লোকজন জঙ্গলে, পাহাড়ের ঢালুতে, খালের পাড়ে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে থাকেন। ফলে সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের ফলে এদিকে এলাকার খাল-বিল দুষিত হচ্ছে অন্যদিকে কলেরা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিযদ প্রতিবছর বিনামূল্যে স্যানিটেশন সামগ্রী বিতরণ করলেও দরিদ্র ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ তা পায় না।
পানছড়ি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, পানছড়ি উপজেলায় ৬৯.৭৫ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সম্মত লেট্রিন ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে লোগাং ইউনিয়ন পরিষদে ৭৯শতাংশ, চেংগী ইউনিয়নে ৭৭শতাংশ, পানছড়ি ইউনিয়নে ৬০শতাংশ এবং লতিবান ইউনিয়নে ৬৩ শতাংশ। তবে ২০১০ সাল থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ বিদুর্শী চাকমা বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এখনো যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে। এসব এলাকার মানুষ সারা বছর পানিবাহিত রোগে আত্রান্ত হয়। স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকয়ে এসব মানুষ বিপদের মুহুর্তেই হাসপাতালে গিয়ে থাকে।
পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসেতু বিকাশ চাকমা ও লতিবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করা প্রতিটি মানুষের জন্য আবশ্যক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষকে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.