বান্দরবানের মায়ানমার সীমান্ত এলাকার সাংঙ্গু রিজার্ভ ফরেষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ২৩টি নিষিদ্ধ পপি বাগান ধ্বংস করে দিয়েছেন। তবে প্রতিবছরই অভিযানে পপি বাগান ধংস করা হলেও চাষীদের পূর্নবাসনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় নিষিদ্ধ পপি চাষ থামানো যাচ্ছে না বলে অনেকের ধারনা।
জানা গেছে, বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ১শ ৭৫ কিলোমিটার গভীর অরন্যে সাংঙ্গু রিজার্ভ ফরেষ্ট এলাকায় হতদরিদ্র জুমিয়া চাষিরা অর্থের লোভে নিষিদ্ধ এ পপি চাষ করছে। তাছাড়া পাশ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে পপির চাহিদা থাকায় প্রতিবছরই গভীর অরন্যে জুমের সাথে এ পপি চাষ কররা হয়ে থাকে। এবারও সীমান্তের পানঝিড়ি ,বুলু পাড়া, ও লেইক্রে ঝিড়ি এলাকায় পপি চাষ করা হয়েছে। সবুজ বেষ্টিত পাহাড়ের মাঝে অনিন্দ সুন্দর বেগুনি রং এর ফুলটি দেখে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। কিন্তু এই সুন্দরের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর মাদক আফিম, হোরোইন ও মরফিনের মত এর মূল উপাদান।
এদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে আলিকদম জোনের নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪টি ব্যাটালিয়নের ২৪৫জন সদস্য টানা ৯দিন অভিযান চালিয়ে পানঝিড়ি ,বুলু পাড়া, ও লেইক্রে ঝিড়ি এলাকায় ২৩টি পপি বাগানের সন্ধান পান। এছাড়া আরও ৪টি এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় সন্ধান পাওয়া পপি বাগান ধংসের পর জ্বালিয়ে দেন বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মদ চৌধুরী। এসময় জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী,পুলিশ সুপার দেবদাশ ভট্রাচ্যার্য,বলিপাড়া ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কামরুল ইসলাম,বান্দরবান ডিজিএফআই-এর কমান্ডার লে:কর্ণেল শফিউল ইমাম,আলিকদম জোনের কমান্ডার লে:কর্ণেল মিজানুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রতি বছরই নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পপি বাগান ধংস করা হলেও চাষিদের পুর্নবাসনের উদ্যোগ না নেয়ায় পপি চাষ বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা ও পপি চাষ বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ হতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মদ চৌধুরী বলেন, বান্দরবানের সাংঙ্গু ও মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেষ্টের মায়ানমার সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকাই অরক্ষিত থাকায় দেশী বিদেশী সন্ত্রাসী গ্রুপ ও মাদক ব্যবসায়ীরা জুম চাষিদের দিয়ে নিষিদ্ধ আফিম চাষ করাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.