রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন মা ও শিশু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার যে অগ্রগতি সাধন করেছে তা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা প্রদানকারীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকার তৃণমূল পরযায়ের সেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সূযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধির যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তা কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে জনগনের দৌড়গোড়ায় সকল নাগরিক সুবিধা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধ পরিকর।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) এর উদ্যোগে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকাদের ১৮ মাস ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষনের প্রশিক্ষনের প্রশিক্ষণ ভাতা বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভাতার চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা কেন্দ্র, রাঙ্গামাটির অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান সরদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বেগম সাহানওয়াজ, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম সুমনী আক্তার এবং সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা বার্তা প্রতিনিধি মোঃ মোস্তফা কামাল । প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কুলসুম আক্তার। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহণকারী ১৭ জন প্রশিক্ষনার্থীর মাঝে ৬মাসের ভাতা হিসাবে জন প্রতি ৭৬ হাজার ৮ শত টাকার চেক বিতরন করা হয়।
প্রধান অতিথি ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী পার্বত্য জেলায় নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত কল্পে স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা দক্ষ ধাত্ররি মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ প্রসব এর বিষয়টি নিশ্চিটত করার আহবান জানিয়ে আরো বলেন পার্বত্যান্ঞ্চলের দূর্গমতার কারনে অনেক ক্ষেত্রে পরবর্তী মায়েদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়না বিধায় তারা যাতে নিরাপদ পরিবশে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী কিংবা ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসব কাজ সম্পাদন করতে পারে সেদিকে দৃষ্ঠি দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে গ্রামীন ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মরত স্বাস্থ্য সেবিকা এবং পরিবার কল্যান পরিদর্শিকাদের অধিকতর দায়িত্বশীল ভুমিকা পালনের আহবান জানান।
ভাতা বিতরনী অনুষ্ঠানে জানানো হয় পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা হিসাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা দ্বিগুন করা হয়েছে। এর ফলে প্রশিক্ষনার্থীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.