পাহাড় ধসের ঘটনায় জেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি এবং আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের যানবাহন চলাচল এখনো চালু হয়নি। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সড়ক চালু হতে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, পাহাড় ধসের ঘটনায় অভ্যন্তরীন রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। এর মধ্যে মানিকছড়ি এলাকার পর সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে পাহাড়ের মাটি ও গাছ পড়ে রাস্তা ব্লক হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মীরা মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে এলইজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে প্রায় ১৬টি স্থানে পাড়াদ ধসে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে শনিবারও সড়কে যানবাহন চালু করা যায়নি। তবে বৃষ্টি না হলে আজ শনিবার থেকে এ সড়কে যানবাহন চালুক করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রিতদের দুবেলা খাবারসহ বেসরকারী সংস্থাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। এখনো জেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা পাওয়া যায়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা জানান, পাহাড় ধসে ভেঙ্গে যাওয়া রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের কাজ চলছে। যদি ভারী বৃষ্টিপাত না হয় আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের সড়ক যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা জানান, তার উপজেলার পৌর এলাকা ব্যতীত অন্য ৬টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৫শটি ঘরবাড়ি সম্পুর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার উপজেলার প্রায় ৬হাজার মানুষকে বাচিয়ে রাখার জন্য এক বছরের পূর্নাঙ্গ রেশন ব্যবস্থা করার দরকার।
উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড এলাকা,মুসলিম পাড়া.শিমুলতলী এলাকা,সাপছড়ি,মগবান,বালুখালী এলাকায় এবং জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। এতে জেলায় ১৬শ থেকে ১৭ শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ন ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাহাড় ধসের কারণে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগযোগের এক সপ্তাহ বিচ্ছিন্ন থাকে। গত বুধবার এ সড়কে হালকা যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.