পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন পার্বত্য জেলায় জেলা ভিত্তিক কৃষি গবেষণা কাজ বৃদ্ধি করতে হবে। পার্বত্য এলাকার চাষাবাদের জন্য উপযোগী নতুন বীজ উদ্ভাবন করতে হবে। জুম চাষের জন্য যে বীজ বপন করলে জুমিয়ারা লাভবান হবে সেই ধরণের বীজ উদ্ভাবন করতে হবে। তবেই পার্বত্যাঞ্চলে কৃষি আরো সম্মৃদ্ধি হবে।
সোমবার রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক বিনা উদ্ভাবিত ডাল, তেলবীজ এবং ডানা জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণযোগ্য জাত সমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি এবং নতুন শস্য অর্ন্তভুক্তিকরণ শীর্ষক দিন ব্যাপী কর্মশালায় এসব কথা বলেন কৃষিবিদরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য্য। বিনা’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি কৃষি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সুখেন্দু শেখর মালাকার, খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণের উপ পরিচালক তরুণ ভট্টাচার্য, বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণের উপ পরিচালক আলতাফ হোসেন,কৃষিবিদ তপন কুমার পাল, কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা প্রমূখ। কর্মশালায় রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের জেলা ও উপজেলার কৃষিবিদরা অংশগ্রহণ করেন।
কৃষিবিদরা বলেন, ভৌগলিকগত কারণে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির মাটি এক নয়। বান্দরবানে উচু পাহাড়, রাঙামাটিতে পাহাড় হ্রদ, খাগড়াছড়িতে কম পাহাড় বিদ্যমান। তাই তিন জেলায় একই ধরণের ফসল চাষাবাদ হয় না। তাই তিন জেলায় জন্য আলাদা গবেষণার কাজ করা দরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএই রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রনব ভট্টাচার্য্য বলেন, কৃষক-কৃষিবিদ- কৃষি সম্প্রসারণ এক সাথে মাঠে কাজ করা হলে পার্বত্যাঞ্চলে কৃষি আরো সম্মৃদ্ধি হবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণের উপ পরিচালক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, গবেষণা শুধু কর্তনের সময়ে মাঠে গেলে হবে না। পুরো প্রক্রিয়ার সাথে জাড়িত থাকতে হবে। কৃষকদের সমস্যা গ্রহণ করতে হবে। কাপ্তাই হ্রদের পানি দেরীতে কমার কারণে কৃষকরা বোরো আবাদ করতে পারে না। তাই এই সময়ে কোন ধানের জাত রোপন করলে কৃষকরা লাভবান হবে সেই ধরণের বীজ উদ্ভাবন করতে হবে। তবে কৃষকরা লাভবান হবে। যে বীজ বপন করে কৃষকরা লাভবান হতে পারে না সেই বীজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণের উপ পরিচালক আলতাফ হোসেন বলেন, রাঙামাটিতে হ্রদ পাহাড় আছে কিন্তু বান্দরবানে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। সে অনুযায়ী বীজ এবং গবেষণা করতে হবে। তবে কৃষকরা উপকৃত হবে। কৃষিতে সম্মৃদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, দেখা যায় তিন পার্বত্য জেলায় আমের ক্ষেত্রে একই সময়ে মুকুল আসে না। ফলে একই সময়ে এগুলো সংগ্রহ করা যায় না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.