রাঙামাটিতে এগ্রোবেজড ফুড, ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট ও ফার্নিচার শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সহায়তাকারী এনজিওদের অবহিতকরণ বিষয়ক দুইদিনের কর্মশালা বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এস এম জাকির হোসেন। কর্মশালায় স্থানীয় এনজিও ‘আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র’ এবং ‘প্রগ্রেসিভ’ এর ১০জন কর্মকর্তা এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ৫জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। আইএলও ঢাকা অফিস থেকে প্রোগ্রাম অফিসার তানজেল আহসান কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, আইএলও এর অর্থায়নে এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ‘ইনফরমাল সেক্টরে এ্যাপ্রেন্টিসশীপ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি’ রাঙামাটির পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য একটি সুযোগ। বর্তমান যুগ দক্ষতার যুগ। দেশে অথবা বিদেশে দক্ষ শ্রমিকদের প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে। এদের মজুরীও অদক্ষ শ্রমিকদের চেয়ে ভালো। আমরা যদি বিদেশে বেশি পরিমান দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারি তাহলে বৈদেশিক মুদ্রাও বেশি পরিমানে অর্জিত হবে। আইএলও বা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা দক্ষ শ্রমিক সৃষ্টির লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। এরই অংশ হিসাবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ স্থানীয় দুটি এনজিও-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ কার্যক্রমটি সফল করা গেলে এলাকার স্থানীয় অদক্ষ যুবকরা দক্ষ শ্রমিক হিসাবে গড়ে উঠতে পারবে। দক্ষ শ্রমিকরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি বিদেশে চাকুরী নিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১১ দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে। কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ(টিভেট) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইএলও বিভিন্ন কারিগরী সহায়ক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি সংস্থাগুলোকে সহায়তা প্রদান করে আসছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ: কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতার জন্য দক্ষতা প্রকল্প(সংক্ষেপে বিসেফ প্রজেক্ট) যা কানাডার অর্থায়নে আইএলও কর্তৃক পরিচালিত।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.