খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবীতে বুধবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ শান্তি পূর্ন ভাবে পালিত হয়েছে। সুপার জ্যোতি চাকমা মুক্তি সংগ্রাম কমিটি এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
সুপার জ্যোতি চাকমা মুক্তির সংগ্রাম কমিটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের কারনে খাগড়াছড়ি শহর থেকে দুর পাল্লার কোন যান বাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের ভিতরে কিছু কিছু বেটারী চালিত অটো(টমটম) চলাচল করেছে। তবে দুর পাল্লা ও আভ্যন্তরীন রোডে সকল ধরনের যান বহন চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় লক্ষীতে সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবীতে মিছিল করার সময় মিছিলের উপর হামলা ও সুপার জ্যোতি চাকমার নিঃশর্ত মুক্তির এ অরোধের ডাক দেয় সুপারজ্যোতি মুক্তি সংগ্রাম কমিটি। এছাড়া লক্ষীছড়ি বাজার অনিদিষ্ট কালের জন্য বর্জনের ঘোষনা দেয় এ কমিটি। অবরোধ চলাকালে মানিকছড়ি উপজেলা গিরি মৈত্রী কলেজের সামনে মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এছাড়া আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
রামগড় সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) মো: কাজী হুমায়ুন রশিদ জানান, মানিকছড়িতে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপিডিএফ’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মানিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়ন থাকায় পিকেটাররা সড়কে আসতে পারেনি।
খাগড়ছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন জানান অবরোধের কারনে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্ব পূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
উল্লেখ্য গেল রোববার দিবাগত রাত পোনে ১ টা দিকে লক্ষীছড়ি সরকারী বাসা থেকে একটি পিস্তল একটি ম্যাগজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ সুপার জ্যোতি চাকমাকে আটক করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। তার বিরুদ্ধে লক্ষীছড়ি থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাকে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নিদের্শ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.