মঙ্গলবার ঘড়ির কাটায় খন দুপুর ১ টা ৫ মিনিট । রাঙামাটির গর্জণতলীর বলাকা ক্লাব ঘাট থেকে ছেড়ে গেল একটি বড় কান্ট্রি বোর্ড । হ্রদের দু পাশে তখন অনেকে উপস্থিত । সকলের চোখ দিয়ে নির্গত হচ্ছে অশ্রুধারা ।
কান্ট্রি বোর্ডের ছাদে খারুকার্য করা একটি কাঠের কফিনে তখন চির ন্দ্রিায় শায়িত আমাদের সকলের প্রিয় পূর্ণ ভ কফিনের সামনে অপলক দৃষ্টিতে বসে আছে পূর্ণের কলেজ একমাত্র ছেলে শ্রেষ্ঠ । কান্ট্রি বোর্ডের আরোহীদের একজন যিশু ত্রিপুরা চিৎকার করে বলছেন পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা স্বর্গ বাসী হোক , বোর্ডে অবস্থানরত অন্যান্যরা তখন তাদের শাস্ত্রীয় ধর্ম মতে বলে উঠছেন হরি বল। ঘাটের কচুরি পানা পার হয়ে হয়ে মিনিট পনের এর মতো সময় নিয়ে কান্ট্রি বোর্ডটি কাপ্তাই হ্রদের বাক পেরিয়ে তখন সবার দৃষ্টির বাইরে বের হয়ে গেল। এর পরই পূর্ণের স্ত্রী প্রিয় বৌদি দেবী ত্রিপুরাকে সাথে নিয়ে একজন বয়স্ক মহিলা নেমে এলেন নদী ঘাটে। হ্রদের পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুছে দিলেন বৌদির সিথির সিঁদুর । বৌদির ক্রন্দনের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠলো।
বেলা দেড়টার দিকে অম্রু সজল দৃষ্টিতে সবাই ঘাটের পারে থাকা লোকজন ধীরে ধীরে সেই স্থান ত্যাগ করলেন। শেষ হলো পূর্ণ কুমার ত্রিপুরার শেষ যাত্রা । যেই যাত্রার সামিল সবাই ফিরে এসছে কিন্তু রাজবাড়ীর শ্মশানেই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার ভস্মী ভুত হয়ে রয়ে গেল প্রিয় বন্ধু পূর্ণ । শেষ হলো পূর্ণ কুমার ত্রিপরার ৪২ বছরের স্বল্প সময়ের এই জীবন নামক ইনিংস। যেই ইনিংসে আবারো মাঠে নামার কোন সূযোগ নেই। বন্ধু পূর্ণের জীবন ইনিংস এর যবনিকা শুধমাত্র অপ্রত্যাশিত নয় অকল্পনীয়। তবু ও বাস্তব সত্য পূর্ণ আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পারির জমিয়েছেন।
কে এই পূর্ণ ? কেন পূর্ণ কে নিয়ে আমার এতো কথা, এতো লেখা । প্রতিদিনই তো এভাবে কারো না কারো চির প্রস্থান ঘটছে এই পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে । তাই স্বভাবতই প্রশ্ন পূর্ন নিয়ে এতা কথা বলার কি আছে ? এই প্রশ্নটি প্রথমে নিজের কাছেই করেছিলাম আর নিজের মন থেকেই উত্তর পেয়ে ছিলাম পূর্ণের মতো মানুষ খুব কমই আছে এই পৃথিবীতে যারা অপরের পূর্ণতায় নিজের জীবণের পূর্ণতা খুজে পান। রাঙামাটি সদর উপজেলার বসন্ত মঈন সরকারী প্রাধথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্ণ চাকমার পেশাগত পরিচয়। পেশায় তিনি একজন হেড মাস্টার। কিন্তু পূর্ণকে যারা কাছ থেকে চিনেন এবং জানেন বিশেষ করে রাঙামাটি জেলার ক্রীড়াঙ্গনের সাথে যাদের উঠা বসা তাদের কাছে জানা যাবে পূর্ণের পরিপূর্ণতার কথা।
সদা হাস্যজ্বল, প্রাণোদ্যম, পরোপাকারী এবং অসীম ধৈর্যের অধিকারী পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা । প্রধান শিক্ষক হিসাবে পূর্ন যতটা না পরিচিতি তার চাইতে বেশী পরিচিত একজন ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক সর্বোপরী ফুটবলের রেফারী হিসাবে। একাধারে ফুটবল এবং হ্যান্ডবল খেলোয়ারের পাশাপাশি যিনি ছিলেন ফুটবল ও হ্যান্ডবলের সূযোগ্য সফল রেফারী। তার চাইতেও যে পরিচয় পূর্ণকে আজ সবার কাছে স্মরনীয় করে তুলেছে তা হলো বন্ধু মহলে তাঁর ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা।
পূর্ন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে এবং শিক্ষক হিসাবে তাঁর সাথে আমার ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। হ্যান্ডবলের রেফারি হিসাবে তাঁর সাথে একসাথে অনেক খেলা পরিচালনা করেছি আবার তাঁর ম্যানেজারের দায়িত্ব থাকাকালীন সময় রাঙামাটি জেলা হ্যান্ডবল দলের খেলোয়ার হিসাবে খেলেছি। রাঙামাটির প্রতিটি ফুটবলের আয়োজনে পূর্ণকে সাথে নিয়ে একসাথে কাজ করেছি। খেলাধূলার পাশাপাশি স্কাউটিং এর বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে সব সময় কাছে পেয়েছি। আর পারিবারিক বন্ধু হিসাবে সে ছিল আমার পরিবারেরই সদস্য।
সেই ১৯৯০ সাল থেকে রাঙামাটি সরকারী কলেজের সহপাঠী হিসাবে যে বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল আমাদের মধ্যে দিন যত পার হয়েছে সে সম্পর্ক ততো মজবুত হয়েছে। সহপাঠী থেকে ঘনিষ্ট বন্ধু এভাবেই দীর্ঘ ২৬ বছরের আমাদের সম্পর্কের স্থায়ী অবসান হলো পূর্ণের চির বিদায়ের মাধ্যমে। ২০১২ সালের জুন মাসের আগ পর্যন্ত দিনের একটি উল্লেখ্যযোগ্য আমাদের সময় কাটতো এক সাথে। কখনো স্টেডিয়ামে, কখনো উপজেলায় আবার কখনো শহরের বিভিন্ন স্থানে আড্ডার টেবিলে কিংবা হোটেলের চায়ের টেবিলে। ২০১২ সালের জুন মাসে আমার অসুস্থ্যতার পর এই যোগাযোগে কিছুটা ঘাটতি সৃষ্ঠি হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য আমার দীর্ঘ দিন রাঙামাটির বাইরে অবস্থান , রাঙামাটি থাকলেও শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে নির্দিস্ট পরিসরে আমার অববস্থানের কারন ছিল এই সম্পর্ক।
আমার অসুস্থ্যতার এটি বিষয়ে আমি অবাক হয়েছিল তা হলো আমি যখন ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের কোন ক্লিনিকে তখন রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আমার শুভাকাংখী এবং বন্ধু মহলের প্রায় সকলেই আমার সাথে দেখা করতো, আমার খবরা খবর নিতো। কিন্তু পূর্ণকে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিছুটা অবাক হয়েছিলাম এবং দুঃখ পেয়েছিলাম পূর্ণকে কাছে না পেয়ে । কিন্তু আমার অসুস্থ্যতার বছর দুয়েক পরে যখন পূর্ণের দেখা মিললো তখন তাঁর আচরন দেখে আমি অবাক শুধু নয় বিস্মিত হয়ে ছিলাম। কেন না পূর্ণ আমাকে যখলন জানালো আমার অসুস্থ্য জনিত শরীর সে দেখতে পারবে না কেননা সে নিজেকে সংযত রাখতে পারবে না । পরে খবর নিয়ে জানলাম আমি যখল চিকিৎসাধীন তখন প্রতিটি মূহুর্তে পূর্ণ আমার খবর খবর নিতো। বন্ধু মহলের সাথে যোগাযোগ রেখে চিকিৎসার বিষয়ে করনীয় বিষয়গুলো করতো।
আমার তৃতীয় দফায় অপারেশন শেষে যখন ২০১৪ সালের এপ্রিলের শেষে আমি রাঙামাটি ফিরে আসি তার পর থেকে পূর্ণ আর বসে থাকতে পারেনি। আমি জানি আমার ভগ্ন শরীর দেখে সে সহ্য করতে পারলৌ মনের দুঃখ মনের মধ্যে জমা রেখে আমার সাথে প্রতিনিয়ত দেখা করতো আসতো। যখণ মাঝে মদ্যে ঘর ধেকে বের হতাম তখন খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সে এসে হাজির হতো। যে কোন কাজে পরামর্শ করতো। আর প্রতিটি মূতুর্তে সে আমার সুস্থ্যতা কামনা করতো। আমার অসুস্থ্যতার কারনে আমি যতটা কষ্ট পেয়েছি কিংবা পাচ্ছি তার চাইতে কোন অংশে কম ছিল না আমাকে নিয়ে তাঁর কষ্ঠ । আমাদের বন্ধু মহলের সকলের মতো সেও আমাকে নিয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন থাকতো।
পূর্ণের একমাত্র ছেলে শ্রেষ্ঠকে কলেজে ভর্তির ভ্রাপারে সে আমার সাথে একাধিকবার আলোচনা করেই ঢাকার মিরপুরের কমার্স কলেজে ভর্তি করায়। ঢাকায় ছেলেকে ভর্তি করতে পেরে তাঁর সে যে কি আনন্দ সেটি বলার মতো ছিল না। স্কুল শিক্ষকা স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান শ্রেষ্ঠ-কে নিয়ে তার সংসার ছিল সুখে পরিপূর্ণ ষোল আনা। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর এই চলে যাওয়ার হিসাব কোন ভাবেই মিলাতে পারছি না।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক সচেতন ছিল পূর্ণ, খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা, দৈনন্দিন ব্যায়াম আর সকালে গর্জন তলীর মন্দিরে প্রার্থনা ছিল তার নিয়মিত। পূর্ণ কোন অসুখে পড়েছে এই কথা আগে কখনো না শুনলেও সম্ভবত মাস দুয়েক আগে তাঁর সাথে দেখা হলো সে জানায় দোস্ত ঘাড়ের ব্যাথায় খুব কষ্ট পাচ্ছি। তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলাম অর্থোপেডক্্র ডাঃ অসিত দামের শরনাপন্ন হতে। সে শরাপন্ন হয়েছিল। ডাক্তার সাহেব তেমন কোন জটিলতা খুজে পেলেন না । মাঝঝখানে রাঙামাটি এবং রাঙামাটির বাইরে আরো কয়েকজন ডাক্তারকে সে দেখিয়েছিল । নানান পরীক্ষা নিরীক্ষাতেও জটিল কোন কিছু ধরা না পড়াতে সে মোটামুটি স্বাচ্ছন্দেই দিন কাটাচ্ছিল।
গত ৩০ নভেম্বর আমাদের বন্ধূ স্বরনেন্দ ত্রিপুরা সন্ধ্যায় আমাকে জানালো পূর্ণের অসুস্থ্যতা বেড়ে গেছে , তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষন পর সন্ধ্যার দিকে তাঁর মোবাইলে কল করলে সে নিজেই রিসিভ করে জানালো তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর তাঁকে টেলিফোন করলে আবারো সে ফোন রিসিভ করে আমার সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর আমার কথা সে ঠিকমতো বুঝতে না পারায় বৌদির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বৌদি জানান পূর্ন এখন কম শুনছে। সেদিন চট্টগ্রামের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তাঁকে দেখে কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি বৌদিকে পূর্ণকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলাম।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই পূর্ণের খবারখবর নেয়ার জন্য একাধিক বার মোবাইল হাতে উঠালেও একই সময় অন্য জায়গা থেকে ফোন আসার ফোনে যোগাযোগ বিলম্বিত হচ্ছিল । রাত সাড়ে ৯ টার দিকে স্বরনেন্দুর একটি ফোন পেয়ে হঠাৎ ঘাবড়ে গেলাম। কেননা রাতের এই সময় স্বরনেন্দু সাধারনত মোবাইলে কথা বলে না। সেই শোনালো পূর্ণ আর নেই কিছুক্ষণ আগেই রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে পূর্ণের । প্রধমে এই কথাটি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। পরে এক এক বন্ধু মহলের একাধিক ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত হলাম।
রাত ১১ টার পর দিলীপ দাদা মোবাইল করে জানালেন মোস্তফা আপনার প্রিয়বন্ধুর লাশ বাসায় নিয়ে এসেছি। নিজেকে আর সংযত রাখতে পারলাম না। তৎক্ষনাৎ ছূটে যেতে চলালাম গর্জন তলীতে। তবে নিজের শারীরিক অসুস্থ্যতা এবং বন্ধু মহল ও পরিবারের সদস্যদের বাঁধার কারনে রাতের বেলায় আর ছুটতে পারলাম না। সারা রাত একটি মূহুর্তও ঘুমাতে পারিনি । বারংবার চোখে ভেসে উঠছিল পূর্ণের সেই হাস্যোজ্জ্বল মূখ । রাতের আঁধার পার হওয়ার মঙ্গলবার সকালেই ছুটে যাই পূর্ণের বাসায় । পূর্ণের বাসায় কতবার গিয়েছি তার কোন হিসাব নেই ।
তবে মঙ্গলবার সকালে আমি রমযানভাই, মোস্তফা ভাই, জাফর ভাই, প্রিয় সেলিম আংকেলসহ যখন পূর্ণের বাসায় ডুকলাম তখন আর নিজেকে সংযত রাখতে পারলাম না। চির ন্দ্রিায় শায়িত পূর্ণের শরীরের উপর প্রতিকী শ্রদ্ধা হিসাবে যখন ফুল দিচ্ছিলাম তখণ মনে হচ্ছিল পূর্ণ এখনি জেগে উঠবে। বলে উঠবে দোস্ত বস। বৌদিকে বলবে সবাইকে চা-নাস্তা দাও । জানি এগুলো সব মনের ভূল ধারনা তবে নিজের চোখকে সংযত রাখতে পারিনি । প্রিয় বন্ধুর চির শ্ময়ানের এই মূহুর্তে অশ্র“ সংবরন করা কোন মতেই সম্ভব হয়নি। তাই দ্রুতই বের হয়ে আসলাম ঘর থেকে।
দুপুর সোয়া বারটার দিকে আরেকবার ছুটে গেলাম পূর্ণকে শেষবারের মতো দেখার জন্য । শ্রদ্ধাভাজন অঞ্জুলিকা দিদি এবং রণতোষ বাবুসহ যখন পূর্ণের বাসায় পৌছালাম তখন পূর্ণের মরদেহ ঘর থেকে বের করে আনা হয়েছে। শেষ করা হচ্ছে ধর্ময়ি আনুষ্ঠানিকতা। আরেকবার দেখলাম প্রিয় বন্ধুর মুখ। মিনিট বিশেক ধর্মীয় আনুষ্ঠানিতা শেষে তার কফিনের উপর যখন ঢাকনা দেয়া হলো তখন শেষ বারের মতো আরেক নজর দেখলাম তাঁকে । শেষ সাক্ষাত হলো তাঁর সাথে। মনের অজান্তেই দু চোখ বেয়ে অনবরত অশ্র“ নির্গত হলো।
মনে মনে বললাম বন্ধু বিদায় । এই বিদায় শেষ বিদায় । তুই আমার সুস্থ্যতার জন্য উদগ্রীব ছিল অথচ অসুস্থ্যতাকে সঙ্গী করে আজ আমিই তোঁকে শেষ বিদায় জানালাম। তোর এই বিদায় আমাকে কতটুকু আঘাত দিয়েছে সেটি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তুই আমার এবং আমাদের ছিলি ভরসা । বন্ধু তুই ভাল থাকিস। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটিই প্রার্থনা পৃথিবী নামক এই ক্ষনিকের জগতে তুই ক্ষণকাল থাকলেও ধর্মীয় শাস্ত্রমতে তুই যেখানে অনন্ত কাল থাকবি সেখানে তুই ভাল থাকিস ।
তোর সাথে শারীরিক দেখা হবে না ঠিকই তবে তোর ছবি মনের মানস পটে চির অম্লান হয়ে থাকবে । তোর নাম আমাদের হৃদয়ে লেখা হয়েছে তাই এই নাম আমৃত্যু থেকে যাবে। আমি যখন থাকবো না তখনো আমাদের অপরাপর বন্ধু মহলে তুই ঠিকই থাকবি। গুড বাই দোস্ত -- গুড বাই ফর এভার।
***লেখক-মোঃ মোস্তফা কামাল/সংবাদকর্মী ও ক্রীড়া সংগঠক।