হাজার হাজার পূর্নার্থীদের অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের ডেবাছড়া নির্বাণ গুহা ধুুতাঙ্গ বিমুক্তি সংঘারাম বিহারে দুদিন ব্যাপী ১ম তম দানোত্তম কঠিন চীবরদানোৎসব সমাপ্ত হয়েছে। গেল ১৪ ও ১৫ নভেম্বর দু’ দিন ব্যাপী এ কঠিন চীবরদানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ডেবাছড়া নির্বাণ গুহা ধুুতাঙ্গ বিমুক্তি সংঘারাম বিহার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে গেল ১৪ নভেম্বর বেইন ঘর উদ্বোধন করেন বিহারের প্রধান ধুতাঙ্গ ভান্তে শ্রীমৎ ড:এফ দীপংকর মহাথেরো। উদ্ধোধনের আগে দুর্গম এলাকা থেকে আগত পূন্যার্থীগণের পঞ্চশীল প্রার্থনা দেন শ্রীমৎ ড:এফ দীপংকর মহাথেরো। এরপর ভগবান গৌতম বুদ্ধের সময়কালীন মহা-উপাসিকা পূণ্যাশীলা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চীবর তৈরীতে অংশ গ্রহন করেন আগত পূর্নার্থীরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বিশ্বের হিতসুখ ও মঙ্গল কামনা করে স্বধর্ম দেশনা প্রদান করেন ড: এফ ডীপংকর মহাথেরো। এতে উপস্থিত ছিলেন ধুতাঙ্গ বিমুক্তি সংঘারাম বিহারের উপাসক -উপাসিকা পরিষদের সভাপতি ও সাবেক মৈদং চেয়ারম্যান বরুণ তালুকদার, দুমদুম্যা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য বকুলবালা চাকমা, গুরুভান্তের অন্যতম সেবিকা পুষ্পদেবী চাকমা, সদস্য সচিব শান্তি প্রিয় চাকমা, উদযাপন কমিটির সদস্য, দুর্জয় সিংহ চাকমা, প্রীতি কুসুম চাকমাসহ হাজারো বৌদ্ধ নরনারী।
এর আগে কঠিন চীবর ও কল্পতরু শোভাযাত্রাসহকারে অনুষ্ঠান মঞ্চে আনা হয়। এরপর ধর্মীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করা হয়। এরপর সংঘদান, অষ্টপিরস্কার দান, বুদ্ধমুর্তিদান ও পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান কার্য সম্পাদন করা হয়। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট আসন বানিয়ে আগত পুন্যার্থীগনের সম্মুখে কীর্তন ও ব্যান্ড বাজিয়ে বিহার প্রাঙ্গন প্রদক্ষিন করা হয়।এসময় সদ্বর্মপ্রাণ পুন্যার্থীগন সাধু-সাধু-সাধু বলে মঙ্গল ধ্বনির মাধ্যমে কঠিনচীবর দানানুষ্ঠানকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে দিুমদুম্যা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা থেকে হাজার হাজার পূর্নার্থী শরিক হন।
ধর্ম দেশনায় ধুতাঙ্গ ভান্তে শ্রীমৎ ড:এফ দীপংকর মহাথেরো বলেন, ধর্মকে যদি কেউ বাধা দিলে প্রদীপ যেভাবে আস্তে করে নিভে যায়, ঠিক সেভাবে সেই জন আপনা-আপনি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। তাই সবাইকে ধর্মীয় অনুভুতি এবং মৈত্রী চিত্তে বিচরন করার সৎউপদেশ প্রদান করেন তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.