সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব পুজা উপলক্ষে সোমবার জুরাছড়িতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গরীব-দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র ও পূজা উদযাপন কমিটিকে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।
মহানবমীর দিন দূর্গা পুজোর মন্ডপ প্রাঙ্গণে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রমলিয়ানা পাংখোয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি শ্যামল মিত্র, জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রবর্তক চাকমা, সহ-সভাপতি চারু বিকাশ চাকমা, জুরাছড়ি দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি মদন মোহন নাথ ও সাধারণ সম্পাদক তপন কান্তি দে প্রমুখ। এসময় স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরকল উপজেলার সুবলং বাজারের হরি মন্দিরের দূর্গাপুজো মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, সমাজ তথা দেশের সকল জাতির মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সবাইকে ধর্মীয় অনুশাসন মানতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ খুবই শান্তি প্রিয় মানুষ। ঈদ, বিজু, নববর্ষ, পুজাসহ সকল ধর্মের উৎসবে একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকে। তিনি সম্প্রীতির মাধ্যমে সকল ধর্মের উৎসবে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাড়াঁতে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন,বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে আসছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। এ দেশের জনগণ নির্বিঘ্নে যেন নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন ধর্ম একটি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবেনা। হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সামনে সব নাগরিকই সমান অধিকার ও মর্যাদা সম্পন্ন। উৎসবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একে অপরের উৎসবে আসে। এটিই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বহিপ্রকাশ। পবিত্র ধর্মকে কেহ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.