পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) পাহাড়ের মানুষ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থায় বসবাস করছে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের যে বাস্তবতা তার সাধারন প্রশাসন ও আইন-শৃংখলার ব্যবস্থা যথাযথ নয়। একটা অঞ্চলের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে তার সুশাসন ও আইন-শৃংখলার সুষ্ঠভাবে সংরক্ষন করা। কিন্তু এখন পাহাড়ের সেই বাস্তবতা নেই।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে অথনৈতিক অবস্থা যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেভাবে হতে পারছে না। এলাকার মানুষের হাতে প্রশাসন নেই বিধায় এবং এখানকার অর্থনীতিকে বিশেষ একটা পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে যা কিছুই উৎপাদিত হয় সেই পন্য বা জিনিসপত্রগুলো স্বাভাবিকভাবে বাজারজাত করা যায় না। তাই পার্বত্যাঞ্চলে অনেক কিছুই উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়ে থাকলেও কার্যত সেটা সফল হওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।
তিনি কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নে স্বস্ব ক্ষেত্রে ও পরিবার তথা সামাজিক উন্নয়নে পাার্বত্য চট্টগ্রামের সেই পুরনো ভোগের উৎপাদন থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এলাকার অথনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের(সিএইচটিআরডিপি-২) কৃষি বীজ সংরক্ষন ও ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহারের উপর দিনব্যাপী প্রশিক্ষনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
শহরের আশিকা হল রুমে এগ্রেমেক-বিএনইউএফ-জুম ফাউন্ডেশন ও প্রোগ্রেসিভ কনসোর্টিয়ামের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক সুকৃতি রঞ্জন চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তপন কান্তি পাল, সিএইচটিআরডিপি-২ এর উপ-পরিচালক অবিরত চাকমা ও সিএইচটিআরডিপি-২-এর বান্দরবান জেলার কর্মকর্তা যোগেশ তংচংগ্যা।
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন প্রোগ্রেসিভ কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক সূচরিতা চাকমা। দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনে সাপছড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ৫০জন কৃষক-কৃষানিরা অংশ নেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.