কাপ্তাইয়ে রেশম শিল্পে দুর্দিন কাটিয়ে সুদিনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ওইসব চাষীদের অনেকেই সফলভাবে রেশম উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। যা রেশম শিল্পে আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে।
জানা যায়, রেশম উৎপাদনের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের আর্থিক সহায়তায় চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষনা কেন্দ্র তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। যা ২০১২ সালে সম্পন্ন হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭৫০ জন পাহাড়ী বাঙালী নারী-পুরুষকে রেশম উৎপাদন ও সুতা তৈরির প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ওইসব চাষীদের অনেকেই সফলভাবে রেশম উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। যা রেশম শিল্পে আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে।
গবেষনা কেন্দ্রের দক্ষ কর্মী ন্যুচিং মারমা, চিনু বেগম রুমা, ম্রাখ্যাই চিং মারমা ও সম্পা বড়–য়া সিঙ্গেল রিলিং মেশিন ও থাই রিলিং মেশিনে গুটি থেকে উন্নতমানের ২০/২২ ডেনিয়ার সুতা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যা প্রতি কেজি ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ধরনের পিউর সুতা তৈরির ফলে এ এলাকায় রেশম শিল্পের প্রসার ঘটার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উন্নতজাতের রেশম চাষে পারদর্শী হয়ে উঠায় বারঘোনা তনচংগ্যা পাড়াকে আদর্শ রেশম গ্রাম হিসেবে উলে¬খ করেছে চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষনা কর্তৃপক্ষ।
আঞ্চলিক রেশম গবেষনা কেন্দ্রের সিনিয়র রিসার্স অফিসার কামনাশীষ দাশ জানান, এ এলাকায় স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে যে হারে রেশম চাষে উৎসাহ দেখা দিয়েছে তাতে রেশম শিল্পের বন্ধদ্ধার আবারো উন্মোক্ত হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.