আগামী মঙ্গলবার বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরের ৬৪তম জন্ম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাঙামাটির যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র উপাসক-উপাসিকা পরিষদ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
রোববার যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র উপাসক-উপাসিকা রিষদ সাধারণ সম্পাদক রূপক চাকমার (যুবক্যা) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়,শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরের ৬৪তম জন্ম বার্ষিকীর মধ্যে রয়েছে শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা, অষ্ট পরিষ্কার দান, পিন্ডদান, পানীয় দান, মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে কেক কাটা ও ধর্মীয় শোভাযাত্রা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কল্যাণ জ্যোতি স্থবির মহোদয়। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা মৌজা, বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি মৌজা ও লংগদু উপজেলার কাট্টলী মৌজার ধর্মালম্বীরা অংশ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও ধর্মপ্রাণ উপাসক-উপাসিকাগণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
প্রেস বার্তায় শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবিরের ৬৪তম জন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠান সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে সম্পাদনের লক্ষে যমচুগ এলাকাবাসী ও রাঙ্গামাটিবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। একই সাথে রাঙামাটি সদর উপজেলা, বরকল উপজেলা ও লংগদু উপজেলার ৩০টি গ্রামে সবধরণের প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকা, বিপদাপন্ন প্রাণীকুলকে বিপদমুক্ত করা এবং সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী দানধর্মাদি পুণ্যকর্ম সম্পাদনের আহবান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে শ্রীমৎ নন্দপাল ভান্তের কঠোর ধ্যান সাধনা ও সাধনা করেন। তিনি সদ্ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও মুক্তির বাণী বিশ্বব্যাপী প্রচারের লক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের উপমহাদেশে বুদ্ধধর্ম ও বনভান্তের সদ্ধর্মবাণী প্রচার করেন। এছাড়াও শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির বাংলাদেশ ও ভারতে ইতোমধ্যে শতাধিক বন বিহার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তন্মধ্যে ভারতের বিহার প্রদেশে বুদ্ধগয়া বন বিহার, অরুনাচল প্রদেশে লাথাউ আর্ন্তজাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.