লামা পৌরসভা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে খোলা বাজারে চাল বিক্রয়ের জন্য ১৩ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। পৌরসভায় ৬ জন এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ৭ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজিতে খাদ্য বিভাগ চাল বিক্রয় করছেন।
সিদ্ধ চাল খেতে অভ্যস্ত নয় এমন জনসাধারণ সরকারের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে পাহাড়ী সম্প্রদায় ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকজন। বিধায় সরকারের ও.এম.এস কার্যক্রম সুবিধা থেকে উপজেলার ৮০ শতাংশ লোকজন বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ হতে পৌরসভায় ৬ জন ডিলারের মাধ্যমে সরকারী ভাবে চাল বিক্রয় হয়ে আসছে। গত ২১ মার্চ তারিখের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ৭ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগকৃত ডিলাররা সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রে চাল বিক্রয় করছেন। প্রতি ক্রেতারা দৈনিক ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবেন। খাদ্য বিভাগ বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি করার জন্য তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগও করা হয়েছে।
সূত্র জানায় লামা পৌরসভায় নিয়োগকৃত ডিলাররা হলেন, লামা বাজারের উপজেলা পরিষদের সামনে বাসু দেব পালিত, লামা বাজার পোস্ট অফিসের সামনে সঞ্জয় কান্তি দাশ, লামা মুখ বাজারের শাহীন উদ্দিন, লাইনঝিরি এলাকায় অনুপ দাশ, মধুঝিরি বাজারে সঞ্জিব রক্ষিত, গজালিয়া রোড বাজারে মোঃ সাফায়েত হোসেন। অন্যদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়োগকৃত ডিলারগণ হলেন- গজালিয়া বাজারে মংশৈইহ্লা চৌধুরী, মেরাখোলা বাজারে মোঃ গোলাম সরোয়ার, ইয়াংছা বাজারে অহিদুজ্জামান, আজিজ নগর চাম্বী বাজারে কামরুল ইসলাম কানন, কেয়াজু পাড়া বাজারে অনিন্দ্য কুমার দাশ, রূপসী পাড়া বাজারে মোঃ ইসমাইল হোসেন ও ফাইতং বাজারে মোঃ ইদ্রিস।
এদিকে উপজেলার প্রায় ৮০ শতাংশ জনগণ আতপ চাল খেতে অভ্যস্ত। কিন্তু সরকারি খাদ্য গোদাম হতে আতপ চাল সরবরাহ করা হয় না। লামা উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এ উপজেলার বৃহৎ এ জনগোষ্ঠির সুবিধার্তে ও.এম.এস কার্যক্রমে আতপ চাল সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখার পরও কোন সুরাহ হয়নি।
কিছু কিছু ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্রয় কেন্দ্র নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সাধারণ জনগণ। এছাড়া ডিলাররা প্রভাব খাটিয়ে কালো বাজারে ও.এম.এস এর চাল বিক্রয় করারও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিলন কান্তি চাকমার সাথে মুঠোফোনে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,খোলা বাজারে তদারকি করার জন্য টিম কাজ করছে। সরকারিভাবে আতপ চাল সরবরাহ না থাকায় ও.এম.এস কার্যক্রমে ডিলারদের সিদ্ধ চাল দিতে হচ্ছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন,খোলা বাজারে চাল বিক্রিতে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সরকারি নিয়মেই ডিলারদের চাল বিক্রি করতে হবে। এ বিষয়ে খাদ্য বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.