খাগড়াছড়ি আসনের নির্বাচিত সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রথম পর্যায়ের পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে জাহেদুল আলমকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে জননেত্রী বহিস্কার করার বিষয়টি চুড়ান্ত বলেই ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের চিঠি আসে। এতে বিরোধীতা বা বিভ্রান্তীর কোন কিছু নেই। তাঁর পদে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীকে।
শনিবার দুপুরে কদমতলীস্থ সংসদ সদস্যের বাসভবনে জেলার ৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতীক বিতরণ করেন।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, আ’লীগ গণতান্ত্রিক একটি দল। এখানে বিদ্রোহী কিংবা বিভ্রান্তকারীদের কোন স্থান নেই। তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতাকর্মীদের পদ বিন্যাস করা হয় আ’লীগে। তারই ধারাবাহিকতায় ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে। তৃণমূলের ভোটের প্রেক্ষিতে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে আ’লীগ। আর তৃণমূলের উন্নয়নে তাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিতে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত পত্রে ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা গ্রহণ করেছে এবং দেশনেত্রী শেখ হাসিনা তাতে স্বাক্ষরও করেছেন। তা থেকে প্রমাণিত হয় আলহাজ জাহেদুল আলম জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নেই। তিনি এখন বহিস্কৃত।
এদিকে, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৩৬টি ইউয়িনের নাম থাকলেও নবগঠিত গুইমারা উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা বিরোধের কারণে ওই তিনটি ইউনিয়নের ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে জেলা আ’লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শানে আলমের পক্ষে কাজ না করায় অভিযোগ উঠে সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে। কিন্তু জাহেদুল আলম দাবী করেন তিনি মাটিরাঙা পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শামসুল আলমের পক্ষে কাজ করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.