বুধবার রাঙামাটিতে এনজিও কর্মীদের নিয়ে যক্ষ্মা নিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয় সন্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলন ভারপ্রপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ সাবরিনা সুলতানা।
নাটাব রাঙামাটির জেলা শাখার সহ সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন ব্রাক রাঙামাটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ জামাল উদ্দিন, নাটাবের সহ সভাপতি শাহাজাহান মজুমদর, সমাজ সেবা অফিসার নাসির উদ্দিন,ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে আগত আঞ্চলিক প্রতিনিধি মোঃ মোঃ হেলাল। সভা পরিচালনা করেন নাটাব রাঙামাটির কোষাধ্যক্ষ মোস্্লে উদ্দিন। সভায় রাঙামাটি বিভিন্ন এনজিওর ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ সাবরিনা সুলতানা যক্ষা র্নিমূলে বিষয়ে সাধারণ মানুযকে সচেতন করতে সরকারের পাশাপশি এনজিও কর্মীদের ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানুষের যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এদের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই দরিদ্র। তবে নিয়মিত, পরিমিত ও পুর্ন মেয়াদে ঔষধ সেবন করলে এ রোগ ভাল হয়। এ রোগ প্রতিরোধে যেখানে সেখানে মানুষের হাছি, কাশি ও থুথু না ফেলার অভ্যাস গড়ে তোলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যক্ষ্মা রোগে দেশে বছরে ৭০ হাজার লোক মারা যাচ্ছেন। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত অবস্থায় যক্ষ্মা রোগের জীবানু থাকে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আক্রমণ করে থাকে। যক্ষা নিরোধ বিষয়ে সাধারণ মানুযকে সচেতন করতে এনজিও কর্মীদের যথেষ্ঠ ভুমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
সভায় নাটাব’র সহ সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, সমাজে কুসংস্কারের জন্য আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে চাইনা উল্লেখ করে সভায় বক্তারা বলেন ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই, এই কথার ভিত্তি নেই’ এ স্লোগান তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও নির্দিষ্ট এনজিও ক্লিনিকে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও রোগীদের ওষুধসহ চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার বিনামূল্যে প্রদান করছে। সরকারের এ কর্মসূচীকে সফল করতে এনজিও কর্মীদেরও এগিয়ে আসার আহাবান জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.