জেলার খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। বধুবার খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানান।
ওয়াদুদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে মঙ্গলবার রাতে মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষক দলের জেষ্ঠ্য সহ সভাপতি নজরুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর লোকজনেরাই জড়িত। আর খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আওয়ামী পরিবারের একজন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে যাচ্ছে।
সাধারণ ভোটাদের নানাভাবে হুমকী ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, অর্থ দিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই খাগড়াছড়ি জেলার দুইটি পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, কংচাইরী মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত প্রমুখ।
নজরুল ইসলামের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর:
মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার জাতীয়তাবাদী কৃষকদের সহ সভাপতি নজরুল ইসলামের লাশ বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় নির্বাচনী প্রচার শেষে আদর্শ গ্রামর এলাকার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে এক দল দুবৃর্ত্তের দ্বারা হামলা শিকার হন। তিনি মাথায় ও মুখে আঘাত পান।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, মঙ্গলবার রাতে নিহতের স্ত্রী শরিফা বেগম বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন মো. সবুজ, মো. হাশেম ও মীর হোসেন মিরু।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.