মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুসহ ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক রিয়েল ত্রিপুরার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়,খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক জেসীম চাকমা। বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত অর্থসম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা ও কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক রিয়েল ত্রিপুরা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিসিপির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এলটন চাকমা। এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ারে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে বসবাসরত সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু সহ শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি জানিয়ে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিগত ২০০২ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বরাবরে প্রথম স্মারকলিপি উপস্থাপন করে। এরপর ১৬সেপ্টেম্বর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড: ওসমান ফারুক-এর বরাবর ও ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বরাবরেও ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি আকারে প্রদান করা হয়। সরকার ২০১৪ সালে ৬টি জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি।
বক্তারা আরও বলেন,এদেশের ছাত্র সমাজ ১৯৫২ সালের মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম করেছিল। অথচ আজ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের জাতিসত্তার ভাষাগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। সরকার আমাদের শিক্ষা সংত্রান্ত ৫দফা দাবি বাস্তবায়ন না করে পার্বত্য এলাকার জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পিসিপি’র শিক্ষাসংক্রান্ত ৫ দফা দাবি হল পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিসত্বার মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে জতিসত্বার প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য বাদ দিতে হবে, পাহাড়ি জাতিসত্বার বীরত্বব্যঞ্জক কাহিনী ও সঠিক সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাস স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, বাংলাদেশের সকল জাতিসত্বার সঠিক তথ্য সম্বলিত পরিচিতি মূলক রচনা জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং পার্বত্য কোটা বাতিল করে পাহাড়িদের বিশেষ কোটা চালু করতে হবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.