রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন দেশ প্রেমের অভাবের কারণে ও মানুষের মনের মধ্যে খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে দুর্নীতি করে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, একমাত্র তথ্য দিয়ে দুর্নীতি কমানো সম্ভব। ইতোমধ্যে সরকার তথ্য অধিকার প্রনয়ন করেছে। মানুষকে তথ্যে উৎসাহিত ও সচেতনা সৃষ্টি করার জন্য। মানুষ তথ্য অধিকার সম্পর্কে যতই জানতে পারবে ততই দুর্নীতি প্রকট কমানো সম্ভব।
আর্ন্তজাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার রাঙামাটিতে দুদিনব্যাপী তথ্য মেলার উদ্ধোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জিমনেসিয়াম হল রুমে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের(টিআইবি) সহযোগী সংগঠন সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) রাঙামাটি শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক রাঙামাটি কমিটির সভাপতি চাঁদ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহ, জেলা সিভিল সার্জন ডা.স্নেহ কান্তি চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্য ও সনাক সদস্য নিরুপা দেওয়ান। বক্তব্যে রাখেন ইয়েস কমিটির দলনেতা প্রণব চাকমা। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বর থেকে জিমনেসিয়াম চত্বর পর্ষন্ত একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। দুদিন ব্যাপী মেলায় জেলার সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ষ্টল রয়েছে।
সভায় বক্তারা তথ্য না জানার কারণে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন জনগণ। তথ্য অধিকার সম্পর্কে জানা থাকলে যে কোন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে। বক্তারা দুর্নীতিকে ‘না’ এবং ঘৃনা করে সামাজিকভাবে দুর্নীতি বিরুদ্ধে আন্দোলনে এগিয়ে আসার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন আরও বলেন, তথ্য জানার জন্য সরকার তথ্য বাতায়নের ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক জেলায় তথ্য বাতায়নের অধীনে ওয়েবসাইট রয়েছে। ওইসব জেলা ওয়েবসাইটে কোন প্রতিষ্ঠান কি কাজ করছে এবং কি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তার বিস্তারিত তথ্য দেয়া রয়েছে। এসব তথ্য ব্যাপারে জানা যাবে ও প্রশ্ন করা যাবে।
বাংলাদেশ একদিন দুর্নীতি মুক্ত দেশে পরিণত হবে উল্লেখ তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য
সরকারের রুপকল্প রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার যে পরিকল্পনা রয়েছে সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এমজিডি-এর লক্ষ্যেমাত্রা বাস্তবায়নের আমরা বিশাল মাইলফলক পাড় হয়েছি। একটি মাত্র বিষয় ছাড়া সবকটি ক্ষেত্রে তার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২৪শ কোটি মার্কিন ডলার। যা বর্তমানে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতে রয়েছে। যে কোন প্রজেক্ট নিতে চাইলে সরকার নিতে পারবে, সেই সাহস সঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশ যে তলাবিহীন ঝুড়ি নয় তার প্রমাণ করেছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মেঃটন চাউল বিদেশে রপ্তানী করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.