চাকমা সার্কেলের আর্ন্তভুক্ত গ্রামীণ ও মৌজায় সংরক্ষিত বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীদের নিয়ে রোববার রাঙামাটিতে প্রথম সন্মেলন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাকমা রাজ দরবার হলে অনুষ্ঠিত সন্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়। অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন পার্বত্য নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান,ইউএনডিপির-সিএচডিপির সহকারী পরিচালক প্রসেনজিত চাকমা। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন লিপিকা ত্রিপুরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামাবতী চাকমা, বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা ও হেডম্যান থোয়াই অং মারমা। দিন ব্যাপী সন্মেলনে চাকমা সার্কেলের অর্ন্তভূক্ত মৌজার হেডম্যান, কারবারীসহ মৌজা বন নির্ভশীল জনগোষ্ঠীরা অংশ নেন।
সন্মেলনে বক্তারা বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলে যেভাবে নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে বন ধ্বংস হয়ে গেছে। তার বিরুপ প্রভাবে বর্তমানে এ অঞ্চলের ছড়ার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মৌজা বা গ্রামীণ বনের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে সবাইকে সচেতনা সৃষ্টি ও গ্রামীণ বনকে রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রসঙ্গতঃ জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি(ইউএনডিপি)-এর আর্থিক সহযোগিতায় ও চাকমা সার্কেলের ব্যবস্থাপনায় গ্রামীন বন রক্ষায় চিটাগং হিল ওয়াটারসেট কো-ম্যানেজমেন্ট একটিভিটিস নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর বিকল্প সম্পদ ব্যবস্থপনার মাধ্যমে বনায়ন ও খাদ্য নিরাপত্তাসহ গ্রামীণ মৌজা বনের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.