চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রোমেল চাকমার উপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে ফৌজদারি নালিশ দায়ের করা হয়েছে। এতে মামলায় ৭ জন আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রোমেল চাকমা চেম্বার শেষ করে দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী শরীর চর্চার জন্য শহরের রায় বাহাদুর সড়কে সাইক্লিং করছিলেন। এসময় একটি বেপোরেয়া গাড়ি ডাঃ রোমেলের সাইকেলটি ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আসামিরা ডা. রোমেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপরযুপরি আঘাত করলে তিনি আহত হন। এ ঘটনায় গত ১ জানুয়ারী চাকমা সার্কেল চীফ উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে সমঝোতা কওে দেন। কিন্তু সমঝোতার পরও আসামিরা ডাঃ রোমেলকে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। অবশেষে মঙ্গলবার ডাঃ রোমেল নিজেই বাদী হয়ে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে ৭ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি নালিশ দায়ের করেন। এতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু হানিফ নালিশ আবেদনটি আমলে নিয়ে নালিশে থাকা মো. শামীন আলম (৩৫), মো. আহাদ (৩২), ও আনুশা চৌধুরী (২০) কে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা করেন। বাকী চার জনকে সমন জারি করেন আদালত। তারা হলেন প্রিসলি চৌধুরী (২৮), শর্মিষ্ঠা রায় (৫৫), পরাগ রায় (৫৫) এবং তুর্বান রায় (৩০)।
বাদী পক্ষের আইনজীবি শিশুমনি চাকমা ও রিমন সরকার জানান, ডাঃ রোমেলের উপর হামলার ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে চাকমা সার্কেল চীফ সমঝোতার সালিশ উভয় পক্ষ মানেন। তবে পরবর্তীতে আসামিরা এ সমঝোতা ভঙ্গ করেছেন। তারা উল্টো কওে ডাঃ রোমেলকে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাই বিষয়টি আদালতের কাছে উত্থাপন করার পর আদালত নালিশ আবেদনটি আমলে নিয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও বাকী ৪ জনকে সমন জারির আদেশ করেছেন।
আ্ইনজীবিরা আরো জানান, আসাীরা একই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়। এর মধ্যে রয়েছেন শর্মিষ্ঠা রায়, তার দুই মেয়ে আনুশা চৌধুরী ও পিসলি চৌধুরী। গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়া আহাদ পিসলি চৌধুরীর জামাই। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়া আসামি শামীম আলম আনুশা চৌধুরীর বন্ধু। চন্দন রায় শর্মিষ্ঠার ভাই, তুর্বান রায় চন্দন রায়ের ছেলে। তারা ঘটনার দিন সংঘবদ্ধভাবে ডাক্তার রোমেলের উপর হামলা করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.