রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় একের পর এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার মৃত্যুর মিছিল থামছে না। একই দিনে তিন শিশুর মৃত্যু ও তিন দিন আগে পানিতে ডুবে নিখোজ হওয়া অপর এক শিশু লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সাজেকের দিপুপাড়ায় কাচালং নদীর পাড় থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় ৪শিশুসহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হল। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মাচালং এর দীপু পাড়ার কাচালং নদীর পাড় থেকে থ্রেবা ত্রিপুরা(৩৫) নামের একজনের মরদেহটি কাঁদা মাখা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তার বাড়ী সাজেক ইউনিয়নের মাচালং এলাকায়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
সাজেক থানার ওসি নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে প্লাবিত বন্যার পানিতে ডুবে রাহুর বড়ুয়া(১০) নামে তৃতীয় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়েছে। রাহুল বাড়ীর পাশে নদীর ঘাটে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে গেলে স্থানীয়রা খোজাখুজির এক পর্যাযে তাকে উদ্ধার করে। পরে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত রাহুল অরুন বড়ুয়া ছেলে।
একই দিনে সন্ধ্যার দিকে খেদারমারা ইউনিয়নের দক্ষিণ খিলারচর এলাকায় পিতার নাম চিকন্যা চাকমা কন্যা প্রথম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জুনি চাকমা(৭) পানিতে ডুবে মারা যায়। সে বাড়ীর আশপাশে বন্যার পানিতে হঠাৎ করে পানিতে ডুবে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
একই দিনে সাজেক ইউনিয়নে ভাইবোন ছড়া এলাকায় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে গিয়ে মেনকা চাকমা(৭) নামের এক শিশু মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া উপজেলার হাজি পাড়ার মোঃ মহসিনের ছেলে মোঃ জুয়েল(৮) নিখোজ হয়। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে উপজেলার বটতলী কাদের মেম্বার পাড়া এলাকায় মরদেহ পানিতে ভেসে উঠে। পরে স্থানীয় লাশ উদ্ধার করে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চার শিশুর মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.