জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেছেন, রাঙামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘরে মধ্যে আপাতত জুম ঘরের আদলে মাচাংঘর নেই। তবে ভূমিহীনদের মধ্যে কেউ যদি মাচাং ঘর নিতে আগ্রহী হলে তাকে মাচাং ঘর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। মাচাং ঘর ঘর নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটিতে এবার ছয় উপজেলার ২১৩টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নতুন ঘর পাচ্ছেন। কাপ্তাই,কাউখালী,রাজস্থলী, বরকল, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা। আগামী ৯ আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের উপকারভোগীদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এস এম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রসাশক বলেন, এবারের ধাপে জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১১টি, কাউখালী উপজেলায় ৪৯টি, রাজস্থলী উপজেলায় ১টি, বরকল উপজেলায় ২০টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ১০০টি ও লংগদু উপজেলায় ৩২টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া দশ উপজেলার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭৩৬টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০৩টি, তৃতীয় পর্যায়ে ২৩৮টি, চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৪৩৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছিল। চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এবার জেলার ছয় উপজেলায় মোট ২১৩টি ঘর দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৯ আগস্ট নতুন করে ২১৩টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হলে মোট ২ হাজার ১২৯টি ঘর পাবেন রাঙামাটির দশ উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.