জুরাছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের (৪,৫,৬ ওয়ার্ডে) খাদ্য সংকট অবিরাম চলছে। এই সব এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয় বলে দাবী এলাকাবাসীদের।
বৃহস্পতিবার দুমদুম্যা ইউনিয়নের ছোট করাইদিয়া ও বগাখালীতে পৃথকভাবে এসব সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় ৭শ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি হারে ১৪ মে.টন চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। তার মধ্যে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের প্রচেষ্টায় পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ৪ মে.টন ও উপজেলা পরিষদ থেকে ১০ মে.টন চাল প্রদান করা হয়। এসব চাল দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমার নেতৃত্বে ৬ সদস্যর একটি টিম ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃমাহফুজুর রহমান। ছয় সদস্যর মধ্যে রয়েছে দুমদুম্যা ইউপি সচিব অতুল চাকমা, স্থানীয় সাংবাদিক সুমন্ত চাকমা, স্মৃতি বিন্দু চাকমা, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যা সাপনেম পাংখোয়া এবং পূন্য রঞ্জন চাকমা।
সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা জানান, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী-আগস্ট পর্যন্ত এই খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এবছর বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে সামাজিক ভাবে লকডাউনের কারণে খাদ্য সংকটের তীব্রতা বেড়েছে বলে দাবী স্থানীয়দের। এ সংকট স্থায়ী মোকাবেলার জন্য বরো চাষাবাদে "অসমতল জমি সমতল করণ, মৎস্য চাষাবাদে বেড়িবাঁধ, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জুম চাষাবাদে প্রশিক্ষণ ও উৎসাহিত করন প্রকল্প গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রনায় ও স্থানীয় প্রসাশনের কাছে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।
রেশী চন্দ্র চাকমা(৫০) বলেন, ৭-৮দিন ধরে দু`বেলা জংগলের আলু খেয়ে, এক বেলা ভাত আধপেটে খেয়ে কোন মতে জীবন বাঁচাতে হচ্ছে। এ সহায়তা পেয়ে একবেলা হলেও মন খুশিতে খেতে পারবো।
দুমদুম্যা মৌজার প্রবিন হেডম্যান সমূর পাংখোয়া বলেন, প্রতি বছর এসংকট দেখা যায়। এসংকট মোকাবেলায় বিকল্প পদ্ধতি ভাবতে হবে।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, এ সংকট মোকাবেলায় জুম চাষাবাদের পাশাপাশি সমতল জমি সৃষ্টি করে বোরো চাষ করতে হবে। এছাড়া মৎস চাষে ক্রীকবাঁধ, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃমাহফুজুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রসাশন ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ২য় দফা ১৪ মে. টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এ সংকট মোকাবেলায় ৭ মে প্রথম দফা হেলিক্যাপ্টার যোগে সেনাবাহিনী ৯শ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.