কারোনাকালীন সময়ে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে দরিদ্রপীড়িত প্রান্তিক লোকজনদের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বেসরকারাী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস’র উদ্যোগে ও ইউকে এইড-এর অর্থায়নে স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সাজেক ইউনিয়নের প্রান্তিক ৭শ পরিবারের মাঝে চালসহ ভোগ্যপণ্য সামগ্রী ও পানির ট্যাংকসহ পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ দেয়া বিতরণ করা হয়েছে।
সাজেকের মাচলং বাজারে দরিদ্র ৭’শ দরিদ্র পরিবারকে এক মণ চালসহ ৫৬ কেজি ভোগ্যপণ্য সামগ্রী তুলে দেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু। এসময় বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আলম, সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইসরাফিল মজুমদার, আশিকা নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা, সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন, আশিকা প্রকল্প পরিচালক অ্যাডভোকেট কক্সি তালুকদার, সংস্থাটির প্রকল্প সমন্বয়কারী বিমল চাকমা ও ফোকাল পারসন রবিন চাকমাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাতশ পরিবারের প্রতিটি পরিবারকে এক মন করে চাল, চার লিটার তৈল, চার লিটার মসুর ডাল, চার কেজি মটর ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবন, পাঁচ কেজি আলু এবং দুই কেজি করে নাাপ্পি বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রতিটি পরিবারকে ১৫ লিটারের একটি পানির ট্যাংকসহ পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ দেয়া হয়। সাজেকের দরিদ্র এইসব পরিবার ত্রাণ সামগ্রি পেয়ে খুশী।
আশিকা’র নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা জানান , পার্বত্য রাঙামাটি জেলার দুর্গম ও দারিদ্র বিবেচনা করে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭’শ এবং জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ৩’শ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছে। এসব পরিবারকে ত্রাণ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারকে ১৫ লিটারের একটি পানির ট্যাংকসহ পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, একদিকে মরণঘাতি করোনার মহামারীর কারণে প্রান্তিক লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়েছে অন্যদিকে বর্তমান সময়ে জুম চাষ মৌসুমের সময়ে দুর্গম সাজেক, দুমদুম্যা ইউনিয়নসহ প্রত্যান্ত এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রচন্ড খাদ্যর অভাব দেখা দেয়। এই খাদ্যভাব বিষয় নিয়ে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টাল হিলিবিডিটোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হয়। ফলে সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.