রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যা এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, রাঙামাটির পর্যটন সেক্টরের উন্নয়ন করা গেলে বিদেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ঢল নামবে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলায় রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, রয়েছে কৃত্রিম কাপ্তাই লেক ও পাহাড় যা একত্রে অন্য কোন জেলায় নেই। এ প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সেক্টরের মাধ্যমে আমাদের এ জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তিনি এ জন্য প্রয়োজন সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের নবনিযুক্ত সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার বলেন, মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাঙামাটিতে ইতিমধ্যে ৩৮জন নার্স প্রদান করা হয়েছে। তাদের জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ জেলার শূন্য চিকিৎসকের পদ পূরণে মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এছাড়া রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সীমানার মধ্যে যে সমস্ত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদের বিষয়ে প্রশাসন কর্তৃক শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী বলেন, পূর্বের পানির বিলের পরিবর্তে ২০শতাংশ বাড়িয়ে নতুন বিল প্রদান করা হবে। এছাড়া শহরের যে সমস্ত এলাকায় পানি সরবরাহের লাইন লিকেজ রয়েছে সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জেলার ৮টি উপজেলায় যে সমস্ত নষ্ট রিংওয়েল টিউবওয়েল রয়েছে সেগুলো মেরামতের বিষয়ে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লু রহমান বলেন, জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্ব স্ব ভাষায় পাঠ্যবই প্রদান করা হয়েছে। জেলা পরিষদ-জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সাথে চুক্তি মোতাবেক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইনিশিয়াটিভ ফর সোসিয়াল ডেভেলপমেন্ট (আইএসডির) কর্তৃক চাকমা ও মারমা ভাষার অক্ষরের উপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের তাদের স্ব স্ব ভাষায় পাঠদান করাবে। এছাড়া সরজমিন তদন্ত পূর্বক জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.