রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের শনিবার থেকে ২ দিন ব্যাপী মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট ভবনে আয়োজিত ২দিন ব্যাপী মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের উদ্ধোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধূরী।
রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম চৌধূরী ভূট্টোর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি ইউনিট কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিট কর্মকর্তা আজরু উদ্দিন সাফ্দার। অনুষ্ঠানে ইউনিট কার্য নির্বাহী কমিটির সম্মানীত সদস্য, আজীবন সদস্য ও যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ২দিনব্যাপী প্রশিক্ষনে সহশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় ইউনিটের ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন যুব স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ইউনিট কর্মকর্তা ও ইকোসেক প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা এ.কে.এম.আজরু উদ্দিন সাফ্দার, সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা শাহ্ রাজিউর রহমান রাজু, যুব প্রধান সোহানা ফেরদৌস ও উপ-যুব প্রধান রানা দে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধূরী বলেন, মানবতার সেবায় রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট এর ভূমিকা বিশ্ব ব্যাপী যেমন প্রশংসনীয় তেমনি বাংলাদেশেও তার কর্মকান্ডে ভূয়সী প্রশংসার দাবীদার। তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটও তার কর্মকান্ডে সফলতায় স্বাক্ষর রেখেছে।
তিনি রাঙামাটি ইউনিটকে একটি কর্মক্ষম ইউনিট হিসাবে আখ্যায়িত করে তার কয়েকটি কর্মকান্ডের কথা উল্লে-খ করে বলেন, বিগত সময়ের বন্যা ও বিভিন্ন অগ্নিকান্ডে রাঙামাটি ইউনিটের স্বেচ্ছা সেবকেরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমুহের প্রতি যে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। রাঙামাটির প্রতিটি উপজেলায় শীতার্ত মানুষ কে তাৎক্ষনিক কম্বল ও শীত বস্ত্র দিয়ে যে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা অন্যান্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
এ ছাড়াও যে কোন দুর্যোগে রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট তাৎক্ষনিক ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করে অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ইউনিট কতৃক বাস্তবায়ীত ইকোসেক প্রকল্প সহ ইউনিটের অন্যান্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, রাঙামাটি জেলার অধিক ঝুকিপূর্ণ কমিউনিটিতে,কমিউনিটি পর্যায়ে দুর্যোগ জনিত বিরুপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সহশিক্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিভিন্ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারনের নিমিত্তে এই প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বেচ্ছা সেবকগন স্ব স্ব কমিউনিটি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা ও কমিউনিটির লোকজনের সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশিক্ষনলব্দ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে এবং যে কোন দুর্যোগ (বিশেষত: বন্যা, অগ্নিকান্ড, পাহাড় ধ্বস জনিত) পরিস্থিতিতে জরুরী প্রাথমিক চিকিৎসা পরিসেবার কাজে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়াও সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান করবেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.