রাঙামাটিতে টানা ছয় দিনের বর্ষণের ফলে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের ভীড় ছিল। এ পর্ষন্ত রাঙামাটি শহওে জেলা প্রশাসনের ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজারের অধিক লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। বাঘাইছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে জেলা শহরে বৃষ্টিপাত না হলেও বিকেলের পর থেকে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই এখন পাহাড়ের বসবাসরতদের বৃষ্টিতেই ভয়। কারণ বৃষ্টি হলেই পাহাড়ধসের শঙ্কা বেড়ে যায়। এ পর্ষন্ত রাঙামাটি শহরে জেলা প্রশাসনের ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজারের অধিক লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজনদের সকালে ও বিকালে খাবার দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। এখনো হাজারো অধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। যেহেতু বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেহেতু রাতে মানুষের উপস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারনে জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে গৃহবন্দী হয়ে আছেন কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার কিছুটা পানি কমেছে উপজেলার প্লাবিত এলাকায়। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত না হলেও দুপুর থেকে বাঘাইছড়িতে সুষমধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ও পাহাড়ি ঢলে পানির উচ্চতা আরও বেড়েছে। উপজেলার ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব জিতু জানান, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত না হলেও দুপুরের পর থেকে আবার টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে যদি বৃষ্টি থাকে তাহলে আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়া আশঙ্কা রয়েছে। সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ি আমরা ৩২৭ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি। আরও অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে না এসে আত্মীয় বাড়িতে ওঠেছে। সেই সংখ্যা আমাদের জানা নেই। ইউএনও জানান, খাবার পানির সংকট মোকাবেলায় প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.