রাঙামাটির কাপ্তাইয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করার কারণে আবারও বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছে এলাকার লোকজন।
পাহাড় ধসের আশঙ্কার ফলে প্রাণ রক্ষার্থে বসবাসরত লোকজনের পাহাড়ের ঢালুতে একদিকে প্লাস্টিক (ত্রিপল) দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত চলছে অপরিকল্পিত ভাবে পাকা দালান নির্মাণ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন করলেও কে কার কথা শুনে। গেল ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধসে ১৮জনের করুন মৃত্যুসহ বহু লোকজন আহত হয়েছে। এরপর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করতে নিষেধ করলেও তা কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্টরা।
কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি সড়কের ওপর বড়ইছড়ি-রাঙামাটি সড়ক,শীলছড়ি,চিৎমরম,নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনী,লগগেইট,কার্গো ডাউন সাইডসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার লোকজন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে দেখা যায়।
এদিকে ওই এলাকায় বসবাসরত ইসমাইল,হোসেন,রাবেয়া,খলিল জানান, আমাদের নিজস্ব কোন সম্পত্তি নেই,নেই কোন ঘর-বাড়ি। সরকারের পক্ষ হতেও ভুমি ধসের সময় পার্শ্ববতী স্কুল,ক্লাব ঘরে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হয়। আমরা বারবার বলেছি, আমাদের নিজস্ব কোন ভুমি নেই। আমাদের স্থায়ীভাবে থাকার জায়গা করে দিন। প্রতিশ্রুতি দিয়েও তারা আমাদের আর কোন খবর রাখে না। তাই শত মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও আবার একই জায়গায় বসবাস করছি বলে ভুক্তভুগি পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসরত লোকজন জানান।
অপরদিকে কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখাযায়, পাহাড়ের ঢালুতে অপরিকল্পিত ভাবে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে হর-হামেশা পাকা দালান নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার এসব লোকজন পাকা দালান বা নিজস্ব ঘর-বাড়ি রক্ষার্থে প্লাস্টিক (ত্রিপল) দিয়ে ভুমিধস রক্ষার চেষ্টা করছে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান জানান,পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বিপুল সংখ্যক লোকজন বসবাস করছে। আমরা এদের বারবার নিষেধ করার পরও তারা কোন কর্ণপাত করছেন না।
তিনি আরো জানান,বসবাসরত লোকজনের নিজস্ব কোন সম্পত্তি না থাকায় ঝুঁকি জেনেও তারা বসবাস করছে । এদের চিরস্থায়ী ভাবে সরকারের পক্ষ হতে ব্যবস্থা করে দিলে হয়ত এমন ঝুঁকি নিয়ে আর বসবাস করত না বলে তিনি উল্লেখ করেন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন,আমরা প্রশাসনের পক্ষ হতে এ ব্যাপারে বারবার বলেছি এবং সর্তক করে দিয়েছি। যেন ঝুঁকিতে কেউ বসবাস না করে। কেউ যদি অন্যায় ভাবে পাহাড় কেটে করে বসবাস করে বা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত গৃহ নির্মাণ করে তাহলে তাদের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.