বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেএসএস) কেন্দ্রীয়সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এস.মং মারমাসহ জেএসএস’র নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে সোমবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
পসিপির ঢাকা মহানগর শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ব্যাবিলন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়,পিসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সমাজবিজ্ঞান চত্বর ঘুরে কলা ভবন প্রদক্ষিণ করে আবারো অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পরে সেখানে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শুভদেব চাকমার সভাপতিত্বে এবং তথ্য প্রচার সম্পাদ কব্যাবিলন চাকমার পরিচালনায় একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য রমেল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে সবসময় একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রাখার জন্য সেখানে সবসময় কোনো না কোনো সমস্যাকে জিইয়ে রাখা হয়। আর সে সমস্যাগুলোর অজুহাতে পাহাড়ের জুম্ম জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকা জনসংহতিসমিতির নেতৃবৃন্দকে সবসময় টার্গেট করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিগত ২৫ মে বান্দরবানে জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এস.মং মারমা এবং বান্দরবান জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ক্যাবামং মারমাসহ অপরাপর নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবীসহ অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবী জানান।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অলীক মৃ তার সংহতি বক্তব্যে বলেন, পাহাড়কে সবসময় একটি সমস্যার জালে আটকে রাখা হয়। আর সেই জালে জড়ানো হয় জন সংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দকে। একতরফাভাবে এই দায় চাপানো রাষ্ট্রের পরিহাস ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিয়ে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য, ২২ মে বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যারপাড়া থেকে বান্দরবান পৌর সভার সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি চাথুই মং মারমাকে া দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাকে হত্যা াকরা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এস.মং মারমা ও বান্দরবান জেলা জে.এস.এসের সাধারন সম্পাদক এবং রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাবামং মারমাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.