মঙ্গলবার রাঙামাটিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে কর্মশালায় প্রতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। জেলা পরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন ইউএনডিপি’র ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা, ইউএনডিপি’ জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য্য চাকমা জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তার প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিআরপি প্রকল্পের জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক শিশির স্বপন চাকমা। কর্মশালায় রাঙামাটির বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, সম্মিলিত প্রয়াসই পারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রচেষ্টাকে সফল করতে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে আকস্মিকতা, দ্রুততা ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে তার পেছনে প্রধানত মানুষের কর্মকান্ডই দায়ী। তাই মানুষকেই এই ঝুঁকি থেকে বাচাঁর উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে সামাজিক, সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, বিগত বছরগুলোতে এখানে যে জীববৈচিত্র ও প্রাণীকূলের চলাচল দেখা যেত তা এখন নেই বললেই চলে। এছাড়া কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়া, ভূমিধ্বস, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, অসময়ে বৃষ্টিপাত প্রভৃতি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সংঘটিত হচ্ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে ও সহনশীল প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে স্থিতিস্থাপকতা রক্ষায় এই পাইলট প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হয়েছে। পাইলট প্রকল্পের ফলাফল ইতিবাচক হলে পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করা হবে। তারজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন পার্বত্য জেলার ১০টি উপজেলায় ২০টি স্থানে ক্লাইমেট রিসিলেন্স প্রকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.