মঙ্গলবার রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের আলিখ্যং মধ্যবর্তী এলাকায় মন্ত্রাসীদের গুলিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচংগ্যা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচংগ্যা উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের নিজ এলাকায় নির্বাচনী কাজ শেষে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দেশীয় বোট যোগে তার ৫ থেকে ৬ জন সঙ্গীকে সাথে নিয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা সদরে ফিরছিলেন। এসময় আলিখ্যং এলাকার মধ্যবর্তী তিনকুনিয়া পাড়া এলাকায় পৌছলে দুর্বৃত্তরা বোট থামিয়ে সুরেশ কান্তি তংচংগ্যাকে কিছু দুর নিয়ে গিয়ে খুব কাছ থেকে তার বুকে ও মাথায় গুলি করে স্থান ত্যাগ করে। পরে সাথে থাকা তার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নিরুপম তংচংগ্যাসহ অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ বিলাইছড়ি উপজেলার গ্রামের বাড়ীতে নেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের বড় ছেলে নিরুপম তংচংগ্যা জানান, তার বাবাসহ তিনি নির্বাচনী কাজে ফারুয়া গিয়েছিলেন। গতকাল সকালের দিকে বোটে করে উপজেলা ফেয়ার পথে ৩ থেকে ৪ জনের সশস্ত্র সদস্য তাদের থামিয়ে তার বাবাকে উপরে ডেকে নিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। তিনি তার বাবার হত্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর এ হত্যকান্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে(সন্তু লারমা) দায়ী করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনাসহ তার পক্ষে কাজ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সাধারন নীলোৎপল খীসা এ ঘটনায় জড়িত থাকার অস্বীকার করে বলেছেন, জনসংহতি সমিতি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে পরিচিত। এ যাবত পর্যন্ত মিটিং-মিছিল করে আসছে। এখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তবে যে কোন ঘটনা ঘটলে জনসংহতি সমিতিকে দোষারুপ করার একটি গোষ্ঠীর নিয়মের পরিণত হয়েছে। জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জনসংহতি জনসংহতি সমিতিকে দোষারুপ করছে তা সত্য নয়, উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে তিনি দাবী করেছেন।
বিলাইছড়ি থানার ওসি পারভেজ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন দুর্বৃত্তদের গুলিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচংগ্যা নিহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.