একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য রাঙামাটি ২৯৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী উষাতন তালুকদারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট উদয়ন ত্রিপুরা এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গেল ১০ ডিসেম্বর সোমবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের বাঘাইছড়ির সাজেকে নির্বাচনী পথ সভায় রঙ্গীন ব্যানার ব্যবহার, ঘাগড়া বাজার এলাকায় রাঙামটি-চট্টগ্রাম সড়কে নৌকা প্রতীকের তোরণ নির্মাণ, নৌকা প্রতীক জোড়া হর্ণ ব্যবহার করে মাইকে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। এছাড়া দীপংকর তালুকদার পথ সভায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উষাতন তালুকদারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও উস্কানীমূলক বক্তব্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে পদবী ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ, গেল ১৪ ডিসেম্বর উষাতন তালুকদার বাঙালহালিয়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করলে নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মীরা বাঁধা সৃষ্টিকরে। গেল ১৩ ডিসেম্বর তিন নম্বর বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঞোমং মারমা বাঙালহালিয়া বাজারে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন। নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানানো হয়েছে অভিযোগ পত্রে।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা কথা। কোনো নির্বাচন বিধি লংঘন হচ্ছে না। এছাড়া বাঙালহালিয়ায় যে বাধার অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়, ওই দিন তিনি নিজেই নির্বাচনী প্রচারনায় উপস্থিত ছিলেন, তবে সে সময় তাদের সাথে দেখাও হয়নি। যে যার মতো গণসংযোগ করেছি। উষাতন তালুকদারের লোকজন নিজেরাই কৃত্রিমতা সংকট সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো জানান,সরকারিভাবে নির্দেশনা রয়েছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচন প্রচারণায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন, শুধুমাত্র সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন না। তিনি কোনো সরকারি গাড়ি ব্যবহার ও সুযোগ সুবিধা নেয়া হচ্ছে না।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, অভিযোগ হাতে পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেদের দিয়ে কোথাও আচারণ বিধিলংঘন করা হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। যদি কোনো আচরণবিধি লংঘন হলে অব্যশই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.