বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পার্বত্য সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ দমনে পারস্পরিক সহায়তা ও অধিকতর তৎপরতার উদ্যোগের ঐকমত্য হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটির বরকল উপজেলার সীমান্তবর্তী থেগামুখ এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত অনুষ্ঠিত সন্মেলনে এ ঐকমত্য হয়। এসময় সন্মেলনে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে একটি জেআরডি (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স) স্বাক্ষরও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মিজোরাম সীমান্তবর্তী বিজিবির বরকল উপজেলার থেগামুখ বিওপিতে অনুষ্ঠিত সন্মেলন বৃহস্পতিবার সকাল ১থেকে ১২টা পর্যন্ত দু’ঘন্টাব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্শেরনে বিজিবির রাঙামাটির সেক্টরের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শওকত ওসমান এবং খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. সাজ্জাদ হোসেন।
এছাড়া ১, ১৯, ২২, ২৫, ৩৯ ও ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা ওই সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে যোগ দেন। অপরপক্ষে ভারতের বিএসএফ আইজল সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উদয় পাঠানিয়ার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দেয়। ভারতীয় প্রতিনিধি দল থেগামুখ বিওপিতে এসে পৌঁছায় সকাল প্রায় পৌণে ৯টার দিকে। বিজিবির সদস্য ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানোর পর সম্মেলন শুরু হয় ঠিক ১০টায়। সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ৯৯, ১৬২ ও ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে বিজিবির রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শওকত ওসমান এবং বিএসএফ আইজল সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উদয় পাঠানিয়া যৌথ এক সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সম্মেলনে উভয়ের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দূপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।
ওই সময় পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য চোরাচালান ও সীমান্ত রেখার ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত উন্নয়ন ও মেরামত কাজ বাঁধাহীনভাবে সম্পন্ন করা, উভয় দেশের দুস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও তৎপরতা বন্ধের উদ্যোগ নেয়া এবং পারস্পারিক আস্থা বাড়ানোর উপায় নিয়ে প্রাণবন্তু আলোচনা হয়।
এছাড়া অপর এক প্রশ্নে উভয় দেশের বাণিজ্য প্রসার ও অর্থনৈতিক সুবিধা গড়ে তোলার লক্ষে থেগামুখে একটি সীমান্তহাট চালুর ব্যাপারে উভয়ে যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর কথা ব্যক্ত করেন বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তারা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.