প্রায় ৫ মাসেও মেরামত কাজ না করায় কাপ্তাইয়ের বারঘোনা-মিশন হাসপাতাল সড়কটির অবশিষ্ট অংশও সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়েছে। সড়কটি ধ্বসে পড়ায় চন্দ্রঘোনা, বারঘোনাসহ কেপিএম আবাসিক এলাকার সাথে দোভাষী বাজার, লিচুবাগান, চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে জন দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সড়কটি ধ্বসে পড়ায় মিশন হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরসহ হাসপাতালটি হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে মিশন হাসপাতালের বিশাল অংশজুড়ে নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আংশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেল ১৩ জুন টানা বর্ষন ও পাহাড় ধসে কাপ্তাইয়ের ৫টি ইউনিয়নের আভ্যন্তরীন ও কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সে সময় বারঘোনা-মিশন হাসপাতাল সড়কটির নিচ থেকে মাটি সরে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও সড়কটি সংস্কারে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে কয়েক দিন পর পরই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সড়কটির অবশিষ্ট অংশও সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে মিশন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী দোভাষী বাজার, লিচুবাগানে যাতায়াতকারী বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। সড়কটি ভেঙ্গে পড়ায় মিশন হাসপাতালটিও হুমকির মধ্যে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করা না হলে হাসপাতালের একাংশ নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আশংঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে মিশন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার পর ভাঙ্গন প্রতিরোধে নিজ উদ্দ্যোগে গাছ ও বাঁশের খুটি দিয়ে মাটি ভরাট করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সড়কটি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে। এতে মিশন হাসপাতাল হুমকির মধ্যে পড়ে। তড়িৎ ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হাসপাতালটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এতে দূরদূরান্ত থেকে জরুরী চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের আনা নেয়া ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধে ধারক দেওয়াল নির্মাণ সহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সড়কের আরো বিশাল অংশজুড়ে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম বলেন, বারঘোনা-মিশন হাসপাতাল সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য টানা বর্ষনে পাহাড় ধ্বসের কারনে ক্ষয়ক্ষতির ফলে বড়ইছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক ও কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে এখনও ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.