খাগড়াছড়িতে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ৩৫ সাংবাদিকের করা সাধারণ ডায়েরির(জিডি) মামলায় রুপান্তরের পর বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,৩৫ সাংবাদিকদের জিডি নন জিআর মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো: নোমানের আদালত থেকে তদন্তের অনুমোদন পাওয়ার পর তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গেল ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে ধরে নিয়ে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কর্তৃক মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গেল ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় সাংবাদিকরা খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে মেয়র মো. রফিকুল আলমের অনুগত হিসেবে পরিচিত মো: দিদার ওরফে কসাই দিদারের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জন সন্ত্রাসী ‘একটি-দুটি সাংবাদিক ধর, ধরে ধরে জবাই কর,সাংবাদিকদের আস্তানা-জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে জঙ্গী মিছিল নিয়ে মানববন্ধনস্থলে হাজির হয়।
একপর্যায়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য সাংবাদিকদের আনা মাইক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক সাংবাদিককে জবাই করে হত্যা করার হুমকি দেয় কসাই দিদার। এ সময় অধিকাংশ সন্ত্রাসীর হাতে ছিল কিরিচ ও লাঠিসোটা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.