শুক্রবার রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত দৈনিক প্রথম আলোর রাঙামাটি অফিসের স্টাফ রিপোর্টার হরিকিশোর চাকমার মস্তিস্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে । শনিবার সকালে তার জ্ঞান ফেয়ার পর একটু কথা বলারও চেষ্টা করেছেন।
উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দৈনিক প্রথম আলোর রাঙামাটি অফিসের স্টাফ রিপোর্টার হরিকিশোর চাকমা শহরের রাজবাড়ী এলাকা থেকে নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে রাঙ্গাপানিস্থ নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এসময় শহরের ভেদভেদিস্থ রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এলাকায় পৌছলে হঠাৎ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা কবলে পড়লে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে পথচারীরা রাস্তায় উপর তাকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থায় অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার মস্তিস্কে প্রচুল রক্তক্ষরণ হয়েছে ও চোখের নিচে মারাত্নক আঘাত পান। পরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিক হরিকিশোর চাকমার সাথে থাকা দীপেন চাকমা জানান,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়রে(পিজি) নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: আখলাক হোসেন খানের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত ১২টায় অস্ত্রোপচার শুরু করেন। দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ ঘন্টা চেষ্টার পর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছেন। শনিবার সকালে তার জ্ঞান ফেয়ার পর একটু কথা বলারও চেষ্টা করেছেন। তবে পাশে থাকা তার বড় ছেলে আশুতোষ চাকমাকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এখনো পোস্ট অপারেটিভ রুমে তাকে রাখা হয়েছে। তাকে অক্সিজেন এবং ঘুমের ঔষধ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, শনিবার দুপুরের করা এক্সরে রিপোর্ট দুজন অর্থোপেডিকসের চিকিৎসক তাকে দেখে গেছেন। তারা জানিয়েছেন হরিকিশোর চাকমার ভাগ্য ভাল যে হাড় ভেঙে গেলেও হাড় এখনো পজিশনে রয়েছে। যার কারণে ভয়ের কিছু নেই। সেজন্য সার্জারির প্রয়োজন নেই।সম্পুর্ণ বিশ্রামএবং নড়াচড়া না করলে আস্তে আস্তে হাড় জড়া লাগবে।শুধুমাত্র কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্ট করতে হবে।
দীপেন জানায়, চিকিৎসকরা তাদেরকে জানিয়েছেন অপারেশন সংক্রান্ত আপাতত কোন জটিলতা নেই। তবে ব্রেইন এবং মাথায় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রক্ত জমে রয়েছে, যা অপারেশনের সময় বের করা যায় না। কিন্তু তা মারাত্বক ধরণের কিছু নয়। শুধু নড়াচড়া না করলে এবং সম্পুর্ণ বিশ্রামে থাকলে ধীরে ধীরে সেগুলো কমে যাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.