খরস্রোতা পূজ গাং নদীর ভাঙ্গনের কবলে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ২নং চেংগী ইউপি কার্যালয়। অচিরেই ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে চলতি বর্ষা মৌসুমে কার্যালয়টি অর্ধেক অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আংশকা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিষদের কার্যালয়ের চেয়ারম্যানের কক্ষটির অর্ধেক অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে পুরো কক্ষটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষায় খরস্রোতা পূজগাং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া ইউপি চেয়ারম্যানর সদস্যরা কার্যালয়ে বসেন না বলে জানা গেছে।
লোগাং বাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম চাকমা জানান, শুধু চেংগী ইউপি কার্যালয় নয় বিগত ৯/১০ বছরে উপজেলার পূজগাং নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের কারনে নদীর তীরবর্তী অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ীসহ প্রায় অর্ধশত একর ধান্যজমি, ফলজ বাগান, সেগুন বাগান জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে আগামী কয়েক বছরে অনেকেই ঘরবাড়ী, ধান্যজমি হারিয়ে বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি আরো জানান,২০০৫ সালে পানছড়ি ইউনিয়নের দেবেন্দ্র কার্বাারী পাড়ার গুপেদা চাকমা, কীর্তমনি চাকমা, শংখ মনি চাকমার ঘরবাড়ী পূজ গাং নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ভূলমো চাকমা, জিতেন্দ্র চাকমা, অরুন চাকমা,সোম্ব চাকমার ঘরবাড়ী নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
এ প্রসঙ্গে চেংগী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা বলেন, ভাঙ্গন রোধ করার জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর বরাবর অনেকবার আবেদন করলেও কোনো কাজ হয়নি।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা বলেন, তিনি ক্ষমতায় বসার সাথে সাথে ভাঙ্গন রোধ করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তবে ভাঙ্গন রোধ করার কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলে কার্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তর করার চেষ্টা করবো।
পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা বলেন, ভাংগন রোধ করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বহুবার জানানো হলেও কাজ হয়নি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.