রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২টি ইউনিয়নে একটি আঞ্চলিক দলের সমর্থিত প্রার্থীর সশস্ত্র সমর্থকদের ভয়ভীতির কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছে।
মঙ্গলবার কাপ্তাউ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা আ’লীগ নেতৃবন্দ এ নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেন।
উপজেলা পরিষদ রেষ্ট হাউজে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কাপ্তাই ইউএনও তারিকুল আলম। এসময় ওয়াগ্গা বিজিবি`র উপ অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান, এএসপি (সার্কেল) আবুল কাশেম, কাপ্তাই ধানার ওসি রঞ্চন কুমার সামন্ত, রিটার্ণিং অফিসার টিপু সুলতান স্বপন, নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া, আওয়ামীলীগের নেতৃবন্দৃসহ কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাইখালী ইউনিয়নের আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মংক্য মারমা অভিযোগ করে বলেন, একটি আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ওই ইউনিয়নের ১, ৪, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে নৌকার পক্ষে কোন রকম প্রচার প্রচারনা সহ দলীয় কোন এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
চিৎমরম ইউনিয়নে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী থুইচা প্র“ মারমা বলেন, নৌকা সমর্থিত ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর কারনে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কোন রকম প্রচারনা চালাতে পারছেন না তারা। এ সমস্ত এলাকার কেন্দ্রগুলোতে নৌকা সমর্থিত এজেন্ট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সভাপতিবর বক্তব্যে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অংসুই ছাইন চৌধুরী বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও বাধা দেওয়ার কারনে রাইখালী, চিৎমরম এবং ওয়াগ্গা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা অনেক জায়গায় প্রচারনা চালাতে ও এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারছেন না। নির্বাচনের আগে এ ধরনের অবস্থার পরিবর্তন না হলে আ’লীগ নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হবে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি জহুরল আনোয়ার বলেন, রাইখালী ইউনিয়নের দুর্গম কিছু এলাকায় ৪০ থেকে ৪২ জনের সশস্ত্র গ্র“প অবস্থান করছে। তারা নৌকার প্রার্থী সহ সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে তিনি জানান।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রাইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়ামং মারমা ও চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী খেইস্যা প্র“ মারমা এ দুটি ইউনিয়নে নির্বাচনী দিনে সরকার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনতাইয়ের আশংকা প্রকাশ করে কঠোর পদক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মতবিনিময় সভার সভাপতি ইউএনও তারিকুল আলম বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা কিছু করনীয় আছে প্রশাসনের তরফ থেকে তার সবই করা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১ জুন থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্স বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর নিয়মিত টহল থাকবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.