আগামী ১৪ থেকে ১৯মে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্যে বুধবার রাঙামাটিতে প্রেস ব্রিফিং ও এডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়
জেলা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা । জেলা সিভিল সার্জন স্নেহ কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, পুলিশ প্রশাসনের এএসপি সদর সার্কেল চিত্ত রঞ্জন পাল, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান সরদার, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা ও রাঙামাটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এমওসিসি ডাঃ বেবী ত্রিপুরা।
সভায় জানানা হয়, স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও প্রচার সপ্তাহের লক্ষ্যে আগামী ১৪-১৯মে স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতি অর্জন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য জেলা, উপজেলা ও প্রাইভেট সকল সেবা কেন্দ্রে ক্যাম্প করা হবে ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা সভা, সেমিনার ও প্রচারণা শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলেই বেশী করতে হবে। শহরের মানুষ অনেকটা সচেতন, কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এখনও তেমন সচেতন হয়নি। পাহাড়ে বসবাসরত বেশিরভাগই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই বলে পদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহিত হয়না। বিশেষ করে মাঠ কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সচেতন মহলকে তাদের কাছে সরকার কর্তৃক প্রেরিত সুযোগ সুবিধার বার্তা পৌছে দিতে হবে। তিনি বলেন, বাইরের দেশগুলোতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বিধায় দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। তাদের ন্যয় আমাদেরকেও সেভাবে কাজ করতে সকলকে এগিতে আসতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতার অভাবে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ হচ্ছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে এখনো গ্রামের ধাত্রীরা প্রসব করিয়ে থাকেন। যার ফলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমাদের দেশের বর্তমান জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। তাহলে দেশ স্বনির্ভর হবে এবং এগিয়ে যাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.