বুধবার রাঙামাটিতে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এম আবদুল আলী ৪৫তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরন সভা ও মিলাদ মাহফিলের অায়োজন করা হয় ।
শহীদ আবদুল আলী স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে স্মরন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: সামসুল আরেফিন,পুলিশ সুপার সাইদ তারিকুল হাসান ও শহীদ আবদুল আলী পরিবারের সদস্যবর্গ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে প্রাপ্ত স্বাধীনতা পদক ও তিন লাখ টাকার চেক শহীদ এম আবদুল আলী পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় । এই অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর বৃক্তি প্রদান করা হবে ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ফিরোজা বেগম চিনু এম পি বলেন মুক্তিযুদ্বের সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় নীরবে নির্বিঘ্নে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল, যারা এদেশের জন্য এদেশের মাটির জন্য জীবন দিয়েছিলেন তাদেরকে আমাদের চিনে রাখা প্রয়োজন । আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানান তিনি ।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন বলেন শহীদ আবদুল আলী যে অবদান রেখে গেছেন এ বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য তা আসলে আমাদের ভূলে যাওয়ার মত নয় । তিনি শত কষ্ট সহ্য করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন। তার প্রতিটি অবদানকে আমাদেরকে সম্মান জানাতে হবে ।
উল্লেখ্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাঙামাটির মহকুমার প্রশাসক ছিলেন শহীদ এম আবদুল আলী । ১৬ এপ্রিল ডিসি বাংলো ঘাটে স্পীড বোট যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। দীর্ঘ ১২ দিন নির্মম অত্যাচারের পর ২৭ এপ্রিল টুকরো টুকরো করে তার লাশ কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বস্তা বন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.