বান্দরবান পার্বত্য জেলার আজিজনগর হর্টিকালচার সেন্টারে সরকারী ক্রয় নীতিমালা লংঘন করে “বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের” অর্থ ব্যয় করার অভিযোগ উঠেছে।
পিপিআর ২০০৮ (সংশোধিত-২০১০) লংঘন করে সীমানা প্রচীর নির্মানের জন্য গোপনে টেন্ডার কার্যক্রমের চেষ্টা করা হয়। গত ১৯ এপ্রিল বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে অবৈধ টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে মর্মে লামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা নুরে আলম জানিয়েছেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, লামার আজিজ নগর হর্টিকালচার সেন্টারে বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার কার্যালয় থেকে স্মারক নং-১২,০১,০০০০,০০০৩৬,০২,১৫-৭০২ মুলে জিও জারি করেন। চলতি অর্থ বছরের ৩০ জুলায়ের মধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থ পিপিআর ২০০৮ (সংশোধিত -২০১০) অনুসরণ পূর্বক ব্যয় নির্বাহ করার জন্য প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এলজিইডি’র লামা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীরের প্রাক্কলন প্রস্থুত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে হার্টিকালচার সেন্টারে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন সু-কৌশলে গোপচি কার্যক্রমের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করার অপচেষ্টা করেছেন। তবে তার সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম জানান, দরপত্রের নিয়ম নীতিকে সম্পন্ন রূপে উপেক্ষা করে অত্যন্ত গোপনে গোপচি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দরপত্র দাখিলের জন্য গত ১৯ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে নিয়ম নীতির পরিপন্থী বিধায় দরপত্রের বিতর্কিত এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের দরপত্র বিশেষজ্ঞ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, দরপত্রের ক্ষেত্রে একটি স্থানীয় ও একটি জাতীয় পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দরপত্র দাখিলের কমপক্ষে ১৪ দিন পূর্বে পত্রিকায় দরপত্র নোটিশ প্রকাশ করতে হবে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজিজনগর হর্টিকালচার সেন্টারের সীমানা প্রাচীর তৈরীর এবং দরপত্র আহবানের বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়নি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর,