রোববার রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা। এসময় তিনি জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরির্দশনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিপাশ খীসার মাসে ২৮ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার তথ্য পান।
জুরাছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি বলেন, একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার উপর নির্ভর করে উপজেলাবাসীর সঠিক ও মানগত স্বাস্থ্য সেবা। অথচ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিপাশ খীসা মাসে ২৮ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের গ্রহনের অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পরিদর্শনকালে তার কাছে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করেছেন ডাঃ বিপাশ খীসা মেডিকেল অফিসার ও কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্য মূলক ব্যবহারে কারণে উপজেলাবাসী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসক কিংবা কর্মচারীদের কারণে-অকারণে অসৌজন্য মূলক ব্যবহার, নোটিশ প্রদান, বেতন কর্তন কিংবা বেতন ভাতা সময়িক বন্ধ করে দেওয়ার ফলে চিকিৎসকরা বিরক্ত হয়ে উপর মহলের সুপারিশ নিয়ে বদলী হতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠমো বিষয়ে এ পরিষদ সদস্য বলেন, জুরাছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার কিংবা পূর্ন নির্মিত না হওয়ায় সম্প্রতি বড় ধরনের কয়েক দফা ভূমিকম্পে চার পাশের দেয়াল বড় আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন দ্রুত পূর্ণ নির্মাণের লক্ষে রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জোর সুপারিশ করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১২ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নতি করন হলেও এখনো ১০ শয্যায় রয়েছে। অথচ তৎসময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যান মন্ত্রনালয়ের নির্মাণ অধিশাখার উপ-সচিব ডাঃ মোঃ সাজেদুল হাসানের স্বাক্ষরিত আদেশ মূলে ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ভবন নির্মাণের কথা ছিল। ভবন নির্মাণে বিলম্বের কারণ খুঁেজ দেখা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
জুরাছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরির্দশনকালে তার সাথে ছিলেন উপজেলা দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দে, প্রেষনে নিযুক্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবীর দাশ, কমিনিউটি মেডিকেল অফিসার সজিব চাকমাসহ সিনিয়র নার্স ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.