পার্বত্য এলাকায় তুলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি চাষিদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টির মাধ্যমে এটি সম্ভব। দেশে তুলার ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। আর বস্ত্র উৎপাদনের প্রদান উপকরণ তুলা চাষ করে এ অঞ্চলের মানুষ সহজেই সাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।
বুধবার তুলা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলা চাষী উদ্বুদ্ধু করণশীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা একথা বলেন।
ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তুলা উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি জোনের আওতাধীন কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও রাঙামাটি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি জোনের প্রধান কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক আবু ইলিয়াছ মিয়া, কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিট কটন অফিসার সফিকুর রহমান, ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সবিনুল তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ। প্রশিক্ষণে প্রায় ৩৫ জন চাষী অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের জনগণের মূল চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ একটি হল বস্ত্র। এ বস্ত্র তৈরী করতে তুলা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশের শতকরা পাঁচ ভাগ তুলা উৎপাদন করা হচ্ছে। অবশিষ্ট পঁচানব্বই ভাগই আমদানী করা হয়। এতে বিপুল রাজস্ব ব্যয় করা হচ্ছে। অথচ, আমাদের দেশে তুলা উন্নয়নে আবহাওয়া উপযোগী এলাকা বিরাজমান। তথাপি এ খাতটি অনেকটা অবহেলিত। তবে পার্বত্য এলাকায় তুলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, এখানকার আবহাওয়া তুলা উৎপাদন উপযোগী। একসময় পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক হারে কার্পাস তুলা তৈরী করা হত। পাহাড়ী জনগণ এ তুলা থেকে তৈরী সুতা দিয়ে বস্ত্র বুনন করে পরিধান করত। কালের বিবর্তনে তা অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে।
বক্তারা বলেন, তুলা উৎপাদনের ওই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তুলা উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাইয়ের ওয়া¹া ইউনিয়ন সিবি-১২, ১৩, ১৪ প্রজাতির ১৪টি প্লট সৃজন করেছে চাষীদের মাঝে বিনা মূলে বীজ, সার, কিটনাশক সরবরাহের মাধ্যমে। দেশের স্পীনিং মিলে এ তুলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
পার্বত্য এলাকর প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ১২ মন তুলা উৎপাদিত হয়। তবে দেশের অন্যান্য জেলায় প্রতি বিঘায় প্রায় ২১ মন পর্যন্ত উৎপাদন হয়ে থাকে। স্থানীয়ভাবে এক মন বীজতুলা একুশ শ টাকা হারে উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ক্রয় করছে। ফলে তুলা উৎপাদন করে কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.